অযোধ্যায় রাম মন্দির কোটি কোটি হিন্দুদের স্বপ্ন। সত্যি হতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২২ শে জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলেছে। রাম মন্দিরের খ্যাতি শুধু দেশেই নয়, বিশ্বেও সমান ভাবে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রচারে কোন খামতি রাখছে না মোদী সরকার।
অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরের নির্মাণ কার্যে শুধু একটি শহর নয়, সমগ্র ভারত অবদান রেখেছে। মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
ভগবান শ্রী রামের মন্দিরে যে পাথরগুলি খোদাই করা হচ্ছে সেগুলো সাধারণ পাথর নয়, গোলাপী বেলেপাথর। মন্দির নির্মাণের কাছে যে গোলাপী পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি আনা হয়েছে রাজস্থান থেকে। মন্দিরে ব্যবহৃত কাঠের কাজ করছেন কন্যাকুমারীর কারিগররা।
মহারাষ্ট্রের জঙ্গল থেকে আনা কাঠে সেজে উঠছে রাম মন্দিরের ফটক, যা চলবে বহু দশক ধরে। রাম মন্দিরের দরজাগুলির বিশেষত্ব হল এতে সোনার প্রলেপ দেওয়া হবে। মন্দিরে ৫০টির বেশি দরজা বসানো হবে। মন্দিরে ব্যবহৃত গ্রানাইট আনা হয়েছে তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটক থেকে। পাথরে মূর্তি তৈরির কাজ করছেন ওড়িশার কারিগররা। ২২ শে জানুয়ারি রাম লালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে জমকালো করে তুলতে ভারতীয় জনতা পার্টির পাশাপাশি হিন্দু সংগঠনগুলো অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কর্মসূচিকে একটি 'মেগা ইভেন্টে' পরিণত করার চেষ্টা চলছে।
রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাই মঙ্গলবার বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণে অবদান রয়েছে সমগ্র ভারতের। মন্দির কমপ্লেক্সের নিজস্ব পয়ঃনিষ্কাশন ও জল শোধনাগার, ফায়ার সার্ভিস এবং একটি নিজস্ব পাওয়ার স্টেশন থাকবে। রাই বলেন, দিল্লি, গুয়াহাটি, চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের আইআইটি-এর বিশেষজ্ঞরা, সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, হায়দ্রাবাদ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রক মেকানিক্স একসঙ্গে কাজ করে মন্দিরটিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে চলেছে।
২২ জানুয়ারি রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে মন্দিরের নীচতলার কাজ শেষ করতে ৪হাজারের বেশি শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন। মন্দিরের কোথাও লোহার ব্যবহার করা হয়নি। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার গিরিশ সহস্রভোজনী বলেছেন, “আমরা মন্দিরের কোথাও লোহা ব্যবহার করিনি কারণ এটি অক্সিডাইজড হয়ে যায় এবং মন্দিরের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। আমরা কংক্রিট ব্যবহার করিনি কারণ এটি ফাটল সৃষ্টি করে। অনেক গবেষণার পর, অন্তত ১০০০ বছর স্থায়ী হবে এমন পাথর ব্যবহার করে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে'। তিনি বলেন, 'মন্দিরে ২ লাখ তীর্থযাত্রী প্রতিদিন অনায়াসেই প্রবেশ করতে পারবেন'।
নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িতরা জানান, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে অনুষ্ঠানের জন্য প্রাঙ্গণ পরিষ্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ম