Advertisment

আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ 'উদ্ভট' ও 'ভিত্তিহীন', জবান রামানির বান্ধবীর

নিজের বান্ধবী নিলোফারের ভোলবদলে সরব প্রিয়া রামানি। তাঁর কথায়, 'এমনভাবে বলছে যেন ওইদিন হোটেলের ঘরে সে তৃতীয় ভূত হিসাবে উপস্থিত ছিল।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রিয়া রামানি

প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক প্রিয়া রামানির যৌন হেনস্থার অভিযোগ 'উদ্ভট' ও 'ভিত্তিহীন'। দিল্লির নগরদায়রা আদালতে জানালেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বান্ধবী নিলোফার ভেঙ্কররামন। আদালতে তিনি বলেছেন, 'প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ উদ্ভট ও ভিত্তিহীন। পুরো ঘটনা মনে করলেই এটাই এখন আমার মনে হয়।'

Advertisment

আদালতে নিলোফার ভেঙ্কররামন বলেন, 'রামানি বলেছিল তাঁকে মদ পানের কথা বলা হয়েছিল। আকবর ননিজেও মদ পান করছিলেন। এছাড়াও আকবর ওকে হিন্দি গান শুনিয়েছিলেন। সেই সময় যা একেবারেরই অপেশাদারী বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু, সেই ঘটনার ছবি এখন আমার মনে পড়লে অত্যন্ত উদ্ভট ও ভিত্তিহীন বলেই মনে হয়।'

আরও পড়ুন: ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে অবিলম্বে অমুসলমান বন্দিদের মুক্তির দাবি নেলেকের

নিজের বান্ধবী নিলোফারের ভোলবদলের প্রতিবাদে সরব প্রিয়া রামানি। তাঁর কথায়, 'এমনভাবে বলছে যেন ওইদিন হোটেলে সে তৃতীয় ভূত হিসাবে উপস্থিত ছিল।' আগেই আবশ্য হোটেলের ঘরে ডাকার কথা অস্বীকার করেন প্রাক্তন মন্ত্রী এম জে আকবর।

এর আগে অবশ্য আদালতে নিলোফার জানিয়েছিলেন, 'আকবর তাঁর বন্ধবীকে ওবেরক হোটেলে ডেকেছিলেন ইন্টারভিউয়ের জন্য। তারপর ফোনে রামানি আমাকে ফোন করে। ওর গলা বেশ হতাশগ্রস্ত শুনিয়েছিল।' শুক্রবারই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে রামানিকে। তবে, এন জে আকবরের আইনজীবী গীতা লুথার সেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরেকদিন সময় চেয়েছেন আদালতের থেকে।

আরও পড়ুন: মমতার কালীপুজোর আমন্ত্রণে ‘অভিভূত’ রাজ্যপাল

যৌন হেনস্থা মামলার শুনানিতে দিল্লি আদালতে প্রিয়া রামানি জানান যে, তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেননি, তা ডি-অ্যাক্টিভেট করেছেন। প্রয়োজনে ফের নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করবেন। , ট্যুইট করেই এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রিয়া রামানি। ফলে আকবরের মানহানির মামলায় প্রিয়ার টুইটারে কথোপকথন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যদি প্রিয়া রামানি টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করতেন, তাহলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হত বলে অভিযোগ করা হত। সে কারণেই এদিন আদালতে প্রিয়া রামানি জানান, যে তিনি ভেবেচিন্তে টুইটার অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করেননি। প্রয়োজনে ফের তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করবেন।

এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। ১৯৯৪ সালে খবরের কাগজে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে হোটেলের ঘরে ডেকেছিলেন আকবর। দাবি করেন রামানি। সেই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। এ অভিযোগের পর বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আকবর। পরে, মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এম জে আকবর।

Read the full story in English

MJ Akbar
Advertisment