আকাশ ছোঁয়া জ্বালানীর দর। ১০দিনে পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৯ বার। তার সঙ্গেই বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দরও। নাভিশ্বাস অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সুরেই কথা বলছিলেন যোগগুরু রামদেব। পরামর্শ দিচ্ছিলেন কঠোর পরিশ্রমের। এক ফাঁকে সাংবাদিক তাঁকে তাঁরই পুরনো দাবি মনে করিয়ে দিয়ে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তখনই চটে যান যোগগুরু। তিরিক্ষি হয়ে ওঠে তাঁর মেজাজ। চড়া সুরে বলেন, 'আমি আপনাকে উত্তর দিতে বাধ্য নই। একই প্রশ্ন করবেন না, তাহলে ভালো হে না।'
গরিয়ানার কারনালে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রামদেব। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই ওঠে জ্বলানীর দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ। তখন যোগগুরুকে বলতে শোনা যায়, 'সরকার বলছে তেলের দাম কমালে রাজকোষে করের ঘাটতি হবে। তখন দেশ চলবে কীভাবে? সড়ক তৈরি হবে কীভাবে? হ্যাঁ মুদ্রাস্ফীতি কমা উচিত, সে সম্পর্কে আমি সহমত যে। তবে মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি সন্ন্যাসী হয়েও ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে থাকি।'
এইসময়ই রামদেব বাবাকে তাঁরই করা পুরনো কথা স্মরণ করিয়ে দেন এক সাংবাদিক। একবার ভোটের আগে রামদেব বলেছিলেন যে, 'লোকেদের সেই দলকে ভোট দেওয়া উচিত যারা পেট্রোল প্রতি লিটার দাম ৪০ টাকা করবে, রান্নার গ্যাসের দাম হবে ৩০০ টাকা।' রামদেবের সমর্থনকারী মোদী সরকারই এখন ক্ষমতায়। কিন্তু পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে এখন কী বলবেন? রামদেবকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন এক সাংবাদিক।
দৃষ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন যোগগুরু। তিরিক্ষে হয় তাঁর মেজাজ। বলেন, 'হ্যাঁ আমি বলেছিলাম, আপনি কী করবেন? আমি আপনার উত্তর দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ নই।' এরপরও জবাব পেতে নাছোড় ছিলেন সাংবাদিক। ফলে আরও মেজাজ হারান রামদেব। বলতে থাকেন যে, 'চুপ করন। একই প্রশ্ন করে গেলে ভালো হবে না। এইভাবে কথা বলবেন না। আপনি নিশ্চই একজন ভদ্র বাবা, মায়ের সন্তান।'
রামদেবের এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা ঘিরে নানা চর্চা চলছে।
Read in English