মহর্ষি সন্দিপানি রাষ্ট্রীয় বেদবিদ্যা প্রতিষ্ঠান (এমএসআরভিপি) সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশের প্রথম বৈদিক শিক্ষার পর্ষদ তৈরিতে উৎসাহী সংস্থা যেন আবেদন করে। ইতিমধ্যে আবেদন জমা দিয়েছে যোগগুরুর রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। মঙ্গলবার ছিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
পতঞ্জলির ওয়েবসাইট বলছে "যোগ এবং আয়ুর্বেদ ছাড়াও যজ্ঞ, জৈব চাষ, গোমূত্র, পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করাই তাদের লক্ষ্য"। রামদেব ছাড়াও সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন আচার্য বালকৃষ্ণ, স্বামী মুক্তানন্দ এবং শঙ্করদেব।
শোনা যাচ্ছে মোট তিনটিই আবেদন জমা পড়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। এমএসআরভিপি মানব সম্পদ এবং উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে একটি সংগঠন। মূলত বৈদিক শিক্ষার প্রসারই এদের কাজ। বৈদিক শিক্ষা পর্ষদ একবার গঠিত হয়ে গেলে আর.এস.এস চালিত বিদ্যা ভারতী স্কুল, আর্য সমাজ চালিত গুরুকুল, হরিদ্বারের রামদেবের আবাসিক স্কুল আচার্যকুলমের মতো প্রতিষ্ঠানের সুবিধে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ সিবিএসই এর অধীনে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল চালানোর অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন, এবার নাসিরুদ্দিনকে দেশদ্রোহী বললেন রামদেব
তিন বছর আগে তৎকালীন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রামদেবের বেসরকারি শিক্ষা পর্ষদ গঠনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসই ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম জানায় কেন্দ্র তার অবস্থান পাল্টেছে। এমএসআরভিপি যদি এর মধ্যে আবেদন জমা দেওয়ার মেয়াদ আর না বাড়ায়, তবে তিনটি আবেদনকারী সংস্থার মধ্যে একটিকে বেছে নেবে নির্বাচন কমিটি। কোন সংস্থা সবরকম শর্ত পূরণ করতে পারছে তা দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এমএসআরভিপি, যার দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রের মানব সম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর।
শর্তে বলা আছে সংস্থার ন্যূনতম সম্পদের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা হতেই হবে। এবং নতুন বেসরকারি বোর্ড গঠনের কাজে ৫০ কোটি বরাদ্দ করতেই হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার সোনারপুরে গোবিন্দপুর স্থিত বারুলিতে পথ চলা শুরু করেছে পূর্ব ভারতের প্রথম বৈদিক পাঠশালার। তার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং যোগ গুরু এবং শিল্পপতি বাবা রামদেব।
Read the full story in English