বৈজ্ঞানিকভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ হয়নি, নির্বিচারে চলেছে অবৈধ নির্মাণ কাজ। যেখানে সেখানে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপনের ফলেই ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক বিপর্যয়। রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এমনটাই জানিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে এবিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।
রাজ্যে ভারী বর্ষণ, ভূমিধস ও হড়পা বানে কমপক্ষে ৭০ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ক্ষতিগ্রস্ত জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান,“লোকসান কাটিয়ে উঠতে আমাদের এক বছর সময় লাগবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে, দেশের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত হবে হিমাচল’।
ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি না মেনেই চলছে নির্মাণকাজ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। যে বাড়িগুলো ধসে পড়ছে সেগুলি যথাযথ পদ্ধতি মেনে নির্মাণ করা হয়নি”। রাস্তাঘাটের ফাটলের জন্য দুর্বল ড্রেনেজকেও দায়ী করেন তিনি। পাশাপাশি ভূমিধসের কারণ হিসেবে হাইওয়ে প্রশস্ত করার জন্য অবৈজ্ঞানিক পাথর কাটাকেও দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জুলাই থেকে রাজ্যে প্রায় ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম পরিবর্তনেরও দাবি জানিয়েছেন।"