রামপুরহাটের 'গণহত্যা' নিয়ে এবার সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বীরভূমের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতেও পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের হিংসার ঘটনায় শোক প্রকাশ করছি। আশা করি যে রাজ্য সরকার বাংলার মহান ভূমিতে যারা এমন জঘন্য পাপ করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি দেবে।'' বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার জল গড়িয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। বগটুই-কাণ্ড নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে ময়দানে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের পরিণাম বগটুইয়ের 'হত্যালীলা', এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এদিকে, বগটুই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছে উচ্চ আদালত। আগামিকাল দুপুর ২টোর মধ্যে বগটুইয়ের ঘটনার রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
আরও পড়ুন- নমুনা নেবেন CFSL-এর অফিসাররা, বগটুই-কাণ্ডে রিপোর্ট পেশে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে পদক্ষেপ শুরু করেছে। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্ট হাতে আসার পরই এরাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করবে অমিত শাহের মন্ত্রক।
এদিকে, বগটুইয়ের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। আগেই ক্লোজ করা হয়েছিল রামপুরহাটের এসডিপিও ও রামপুরহাট থানার আইসিকে। এবার আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী-সহ মোট ১৫ জনকে ক্লোজ করা হয়েছে।