চিটফান্ড মামলায় পশ্চিমবঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি চড়া দামে কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল চিটফান্ড কর্তাদের। তেমন ধরনেরই নাকি ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতেও। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর থেকে মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা একটি ছবি ২ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে নাকি বাধ্য করা হয়েছিল ইয়েস ব্যাংকের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতার অন্যতম রানা কাপুরকে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে দেওয়া তাঁর বয়ানে এমনটাই অভিযোগ করেছেন কাপুর। আর, সেই অভিযোগ ইয়েস ব্যাংক মামলায় তাদের চার্জশিটেও নথিভুক্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
চার্জশিট অনুযায়ী ইডি কর্তাদের রানা কাপুর জানিয়েছেন, তাঁর দেওয়া ওই ২ কোটি টাকা খরচ করেছে গান্ধী পরিবার। মুরলী দেওরার ছেলে তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মিলিন্দ দেওরা পরে কাপুরকে নাকি জানান, ওই টাকা নিউ ইয়র্কে সনিয়া গান্ধীর চিকিত্সায় ব্যয় করা হয়েছে। ইডিকে কাপুর আরও জানিয়েছেন যে, তাঁকে তত্কালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুরলী দেওরা বলেছিলেন যে হুসেনের ওই পেন্টিং কিনতে না-চাইলে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কিছুতেই রানা কাপুরের সখ্যতা গড়ে উঠবে না। শুধু তাই নয়, রানা কাপুর 'পদ্মভূষণ' পুরস্কার পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী, বিনিয়োগ করবে আমিরশাহির সংস্থাও
রানা কাপুরের বিবৃতিগুলি ইয়েস ব্যাংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তাঁর পরিবার, দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল) ও তার প্রতিষ্ঠাতা কপিল এবং ধীরাজ ওয়াধওয়ান এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে দায়ের করা আর্থিক তছরুপ মামলার দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি ব্যবহার করেছে। ইডির দাবি, কাপুর তাঁদের জানিয়েছেন যে সনিয়া গান্ধীর আস্থাভাজন আহমেদ প্যাটেল তাঁকে বলেছিলেন যে সনিয়া গান্ধীর চিকিত্সার জন্য সঠিক সময়ে কাপুর গান্ধী পরিবারকে সাহায্য করেছেন। এটা করে কাপুর অত্যন্ত ভালো কাজ করেছেন। এজন্য তাঁর নাম 'পদ্মভূষণ' পুরস্কারের সম্ভাব্য প্রাপক হিসেবে যথাযথ বিবেচনা করা হবে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর ২০২০ সালের মার্চে রানা কাপুরকে আর্থিক তছরুপের দায়ে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফজতে রয়েছেন।
Read story in English