Advertisment

দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ

এই মুহূর্তে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আসামের এন আর সি কার্যবিবরণী পরিদর্শনের দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া লোকপাল নিযুক্তির বিষয়টিও তাঁর বিবেচনাধীন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশের ৪৬ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ (ফোটো- নীরজ প্রিয়দর্শী, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)

দেশের ৪৬ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ। তাঁকে বুধবার শপথবাক্য পাঠ করান দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন।

Advertisment

দেশের উত্তরপূর্ব থেকে এই প্রথম কেউ প্রধানবিচারপতির আসন অলংকৃত করছেন। রঞ্জন গগৈয়ের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের নভেম্বরে। প্রধান বিচারপতি হিসেবে রঞ্জন গগৈয়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এ বছরের সেপ্টেম্বরে সে প্রস্তাব অনুমোদিত হয় দেশের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে।

আরও পড়ুন, পদোন্নতিতে সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে রাজনৈতিক দলগুলি

স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে  গগৈ কাজ শুরু করেছিলেন ২০০১-এর ফেব্রুয়ারি থেকে। এর পর ২০১০ সালে তিনি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি হন এবং সেখানকার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ২০১১ সালে। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেন।

এ বছর ১২ জানুয়ারি বিচারপতি গগৈ এবং আরও তিনজন বিচারপতি, জে চেলেমেশ্বর (অধুনা অবসরপ্রাপ্ত), মদন বি লোকুর, এবং কুরিয়ান জেসেফ প্রধান বিচারপতির কার্যধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেনজির সাংবাদিক সম্মেলন করার পর রঞ্জন গগৈয়ের পদোন্নতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল।

এই মুহূর্তে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আসামের এন আর সি কার্যবিবরণী পরিদর্শনের দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া লোকপাল নিযুক্তির বিষয়টিও তাঁর বিবেচনাধীন। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কারনানের আদালত অবমাননা মামলায় যে সাত সদস্যের বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, রঞ্জন গগৈ ছিলেন সে বেঞ্চেরও সদস্য। ওই বেঞ্চ কারনানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা চালানোর জন্য বিশেষ আদালত নিয়োগের জন্য সরকারকে যে বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, সেই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন রঞ্জন গগৈ। এ বছরের মে মাসে উত্তর প্রদেশ সরকারের দেওয়া একটি নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। উত্তরপ্রদেশ সরকারের ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, সমস্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের সরকারি বাসভবন নিজেদের দখলে রাখতে পারবেন। যে বেঞ্চ এই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন সদ্য শপথ নেওয়া প্রধান বিচারপতি।

রঞ্জন গগৈয়ের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ নিয়ে গত সপ্তাহে একটি আবেদন খারিজ করে দেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। ওই আবেদনে জানুয়ারিতে করা সাংবাদিক সম্মেলনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলা হয়, রঞ্জন গগৈ ‘‘আদালতের কিছু বিষয়ে মতানৈক্যের কারণে সারা দেশে জনমানসে আলোড়ন তোলার চেষ্টা করেছিলেন।’’ সে আবেদন ভিত্তিহীনতার কারণে খারিজ হয়ে যায়।

এ বছর জুলাই মাসে আয়োজিক রামনাথ গোয়েঙ্কা স্মারক বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছিলেন, অতিভাষী বিচারক এবং স্বাধীন সাংবাদিকরাই গণতন্ত্রের প্রাথমিক রক্ষক।

supreme court
Advertisment