/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/lokur.jpg)
২০১৮ সালের ঐতিহাসিক সাংবাদিক বৈঠকে (বাঁদিক থেকে) বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, জে চেলামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ, মদন লোকুর। ফাইল ছবি: অভিনব সাহা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সরকারিভাবে রাজ্যসভা সাংসদ মনোনীত হওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লোকুর। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিচারপতি লোকুর জানান, "কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল, বিচারপতি গগৈকে কী 'সম্মান প্রদান' করা হবে তাই নিয়ে। সুতরাং এই মনোনয়নে অবাক হচ্ছি না, তবে এত দ্রুত হবে, সেটা ভাবি নি। এতে অবাক হচ্ছি বটে। এর ফলে বিচারক সম্প্রদায়ের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা এবং সততার নতুন সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে। শেষ স্তম্ভেরও কি পতন ঘটল?"
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নজিরবিহীনভাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গগৈ, লোকুর, জে চেলামেশ্বর, এবং কুরিয়ান জোসেফ, যাঁরা সেসময় সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বরিষ্ঠ বিচারপতি। তাঁদের বিশেষ প্রশ্ন ছিল বিচারপতি মিশ্রের মামলা বণ্টন প্রক্রিয়া নিয়ে।
পরবর্তী প্রধান বিচারপতি তিনিই হবেন, এই সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে নিজের সতীর্থদের কিছুটা অবাকই করে দিয়েছিলেন বিচারপতি গগৈ। সেদিন সাংবাদিক সম্মেলনের দু'মাস আগে প্রধান বিচারপতিকে লেখা একটি চিঠিও প্রকাশ্যে আনেন ওই চার বিচাপরতি। যেসব প্রশ্ন ওই সম্মেলনে তোলা হয়, তা থেকে সরকার এবং প্রধান বিচারপতির দফতরের মধ্যে সম্পর্কের ওপর বিশেষ নজর পড়ে সকলেরই।
গৌহাটি হাইকোর্টে গগৈয়ের সহকর্মী ছিলেন বিচারপতি চেলামেশ্বর, যিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত হলেও মনোনয়নের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চান নি। সেদিনের সেই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত চতুর্থ বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফের সঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়ার জন্য যোগাযোগ করা যায় নি। তাঁদের নিজ নিজ পদে আসীন থাকাকালীন অবশ্য চেলামেশ্বর এবং জোসেফ দু'জনেই বলে দিয়েছিলেন, অবসর নেওয়ার পর কোনোরকম সরকারি পদ গ্রহণ করবেন না তাঁরা।