যৌন নিগ্রহ কাণ্ডে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ফৌজদারি মামলায় তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের অভিযোগ, এর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। গগৈয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে আর কোনও তদন্ত হবে না। যার ফলে স্বস্তিতে রাজ্যসভার সাংসদ।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে শীর্ষ আদালত যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গগৈয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেয়। এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ জানিয়েছেন, দুবছর অতিক্রান্ত, এই মামলায় বৈদ্যুতিন প্রমাণ খুঁজে বের করা দুষ্কর। পুরনো প্রমাণ যেমন, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। তাই এই তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।
২০১৪ সালের মে মাসে অভিযোগকারিনী মহিলা সুপ্রিম কোর্টে কাজে যোগ দেন। তারপর চার বছর পর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বাড়ির অফিসে কাজ করার সময় যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন। সেই অভিযোগের কোনও পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছিল বিচারপতি এ কে পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীন কমিটি। সুপ্রিম নির্দেশেই গঠিত হয় এই কমিটি। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই এদিন এই নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসামে এনআরসি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈ। এই অবস্থানের জন্য রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে। তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে মত সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটির।