গ্রেফতার ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ স্বামী চিন্ময়ানন্দ। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। শারীরির পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে, কোন ধারায় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে গ্রেফতার করা হল তা একও প্রকাশ্যে জানায়নি পুলিশ।
গত বুধবারই অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্বামী চিন্ময়ানন্দকে শাহজাহানপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর করেছিলেন উত্তর প্রদেশের নির্যাতিতা। সোমবার আদালতে নিজের বয়ান রেকর্ড করান নির্যাতিতা। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্ষীয়ান ধর্মগুরু ও বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: ‘শাড়ি ধরে টানা হয়েছে’, যাদবপুরকাণ্ডে থানায় অভিযোগ অগ্নিমিত্রার
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ১৫ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় যে, নির্যাতিতা গোপন ক্ক্যামেরার সাহায্যে গোটা ঘটনা ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছিলেন। এই ধরণের ৩৫টি ভিডিও ক্লিপ তিনি জমা দেন। গত মাসের শেষ দিকে স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন উত্তরপ্রদেশের আইন পাঠক্রমের এই তরুণী। একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পরই আলোড়ন পড়ে। এর পরে সপ্তাহখানেক ওই তরুণী কোনও খোঁজ মেলেনি। সে সময় বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ভয় দেখানোর অভিযোগও দায়ের করা হয়। পরে রাজস্থানের জয়পুর থেকে সন্ধান মেলে ওই নির্যাতিতার।
পরে নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাইছে না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাই, দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই রাজ্যের নির্যাতিতা। পরে নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিতে চাইছে না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাই, দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই রাজ্যের নির্যাতিতা। এছাড়া, গত মাসে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। পুলিশ কোর্টে জানায়, রাজস্থানে তাঁর খোঁজ মিলেছে। তাঁকে অপহরণ করা হয়নি। ওই তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে হাজির করানো হোক।
Read the full story in English