ধর্ষিতাদের সঙ্গে ‘অস্পৃশ্য’দের মত ব্যবহার করে সমাজ। এ মনোভাব অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার একথা বলেছে। একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধর্ষিতা বা যৌন নিগ্রহের শিকার কারও নাম এবং পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।
বিচারপতি মদন বি লোকুরের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছে কোনও ভাবেই ধর্ষণ এ যোগ লাঞ্ছনার শিকার কারও পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।
আরও পড়ুন, গৌরী লঙ্কেশ, কালবুর্গী, পানসারে, দাভোলকর হত্যা এক সূত্রে বাঁধা থাকলে সব মামলারই তদন্ত করতে পারে সিবিআই: সুপ্রিম কোর্ট
আদালতবন্ধু তথা সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিং শীর্ষ আদালতকে জানান, সংবাদমাধ্যম বিচারাধীন বিষয়ে ‘সমান্তরাল বিচার’ চালায়। ফলে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে রিপোর্টিং কীভাবে হওয়া উচিত তার একটা রূপরেখা বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন।
ইন্দিরা জয়সিং আরও বলেন, নির্দিষ্ট আদালতে চার্জশিট পেশ করার আগেই সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর ফাঁস করে দিচ্ছে পুলিশ, যার ফলে আদালতের কার্যবিধি বাধা পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কাঠুয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার কথা তোলেন ইন্দিরা জয়সিং। তিনি বলেন, এই মামলার চার্জশিট ফাইল করার আগেই কিছু সংবাদমাধ্যমে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলে দেওয়া হয়েছিল যে কয়েকজন অভিযুক্ত নিরপরাধ।
১০ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় সংখ্যালঘু যাযাবর সম্প্রদায়ের এক ৮ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এক সপ্তাহ পর ওই একই জায়গায় তার মৃতদেহ মেলে।
এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পদ্ধতি প্রসঙ্গে লাঞ্ছিতার পরিচিতি প্রকাশ নিয়ে ইন্দিরা জয়সিং ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনের কথা উল্লেখ করেন। উল্লেখ করেন আদালত অবমাননার আইনের কথাও।
মিডিয়ায় যৌন হেনস্থা এবং নাবালকদের যৌন হেনস্থার খবর প্রকাশে নিয়মিত লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশে ভারসাম্যের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনগুলি খতিয়ে দেখার কথা বলেছিল।
Read the Full Story in English