ক্যাডিলা ফার্মাসিটিকিউল্যাসের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযগ আনেন সংস্থারই এক কর্মী। তিনি একজন বুলগেরিয়ান মহিলা। বিজেপি ঘনিষ্ঠ ক্যাডিলার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব মোদীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায় নি বলেও দাবি করেছিলেন ওই মহিলা। মঙ্গলবার আহমেদাবাদের একটি আদালতে একটি ওই মহিলা মামলার তদন্তের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য একটি পিটিশন দাখিল করেছেন। তার সেই আবেদন গুজরাট হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি রাজীব মোদীর বিভিন্ন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এবং ডিভাইসগুলি বাজেয়াপ্ত করে এই মামলায় প্রমাণ সংগ্রহ করার অনুরোধ জানান আদালতের কাছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ক্যাডিলা ফার্মার সিএমডি রাজীব মোদীর বিরুদ্ধে বুলগেরিয়ান এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুলগেরিয়ান এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাডিলা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) রাজীব মোদির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হামলা এবং ইচ্ছাকৃত অপমানের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশে গুজরাট পুলিশ এই মামলা দায়ের করেছে। মহিলা ফ্লাইট ক্রু হিসাবে কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের না করার অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) এইচএম কানসাগরা বলেছেন যে আহমেদাবাদের ফার্মা কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ধারা, ৩৫৪ ধারা, 504 নং ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুজরাট হাইকোর্ট থেকে প্রাপ্ত নির্দেশের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাডিলা ফার্মার সিএমডি রাজীব মোদী এবং জনসন ম্যাথিউ নামে আরও একজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পুলিশকে বলেছিল, দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।
রাজীব মোদীর বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন বুলগেরিয়ার এই তরুণী। তিনি বলেছিলেন যে রাজীব তাকে অফিসের বাথরুমেও ধর্ষণ করতেন। তরুণী বলেন, যে তাকে ক্যাডিলায় একটি প্রাইভেট ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একবার রাজীব মোদী আমাকে অফিসে একা আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এমনকি অফিসের বাথরুমেও সে আমাকে ধর্ষণ করত। অভিযোগের পর আমাকে কোম্পানি থেকে বরখাস্ত করা হয়। আমার ব্যক্তিগত ই-মেইল আইডিও ব্লক করা হয়েছে। করোনা না থাকা সত্ত্বেও আমাকে দেশ ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
তরুণী আরও অভিযোগ করেছেন পুলিশে অভিযোগ করলে উলটে তাকেই হয়রানি করা হয়েছিল। এদিকে জনসন ম্যাথিউ আইনজীবীদের নিয়ে থানায় এসে তাকে হলফনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন।