হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার আবহেই উত্তরপ্রদেশে এক নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ সামনে এল। ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে পুড়িয়ে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের বিহার থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এ ঘটনায় জড়িত ৫ ব্যক্তির নাম বলেছেন নির্যাতিতা। তাদের মধ্যে ৩ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে উন্নাওয়ের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর বলেন, "ওই মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়, এ খবর আজ সকালে পাই আমরা। ৩ জনের নাম বলেন নির্যাতিতা। সেই সূত্রে তাদের ধরা হয়েছে"। আরেক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্যাতিতাকে লখনউয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৫ অভিযুক্তের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে ৪টি টিম তৈরি করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ড: গণপিটুনি, ফাঁসি, খোজা করে দেওয়ার দাবিতে সরগরম সংসদ
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে ৫ জনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা। ২০১৮ সালে বিভিন্ন সময়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানান তিনি। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের জেলেও পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরে জামিনে মুক্তি পায় ওই দুই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে হায়দরাবাদে এক তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ সামনে আসে। যে ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা দেশ। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উন্নাওয়ে নির্যাতিতাকে একই কায়দায় হত্যার ছক কষল ধর্ষকরা। এই প্রেক্ষিতে দেশে নারী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
Read the full story in English