ধর্ষণ করেছে সাংসদ। এই অভিযোগে বিচারের দাবিতে বন্ধুর সঙ্গে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন তরুণী। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ২৭ বছরের যুবক ও ২৪ বছরের তরুণী। দিন কয়েক আগে হাসপাতালে মৃত্যু হয় যুবকের। এবার যমে-মানুষে টানাটানির পর হার মানলেন তরুণীও। মঙ্গলবার ভেন্টিলেশনেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গাজিপুরেরর ছাত্রী ওই তরুণী গত ১৬ অগস্ট দিল্লিতে আসেন বন্ধুর সঙ্গে। একটি ফেসবুক লাইভ করে নিজেদের অভিযোগ জানানোর পর সুপ্রিম কোর্টের চার নম্বর গেটের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার মৃত্যু হয় যুবকের। মঙ্গলবার মারা গেলেন ওই তরুণীও।
তরুণীর অভিযোগ ছিল, বিএসপি সাংসদ অতুল রাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এক আইপিএস অফিসার ও বিচারকের বিরুদ্ধে দোষা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তরুণী ও তাঁর বন্ধু। সেদিন তরুণীর শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তাঁকে ও ওই যুবককে রামমনোহার লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গায়ে আগুন, মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ যুবকের
এদিকে, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন। কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ রেকর্ড করা যায়নি। উত্তরপ্রদেশ সরকার দুই সদস্যের কমিটি গড়ে ডিজি পর্যায়ের অফিসারকে মাথায় রেখে এই ঘটনার তদন্ত করছে। তাঁকে দিল্লিতে শুক্রবার পাঠানো হয় ওই তরুণী ও যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য। অভিযোগ, ২০১৯ সালে বিএসপি সাংসদ অতুল রাই এই ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত। তাঁর জেলও হয়।
গত নভেম্বরে সাংসদের ভাই তরুণীর নামে পাল্টা বারাণসীতে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ, জন্ম শংসাপত্র জাল করেছেন তরুণী। এরপর গত ২ আগস্ট স্থানীয় আদালত তরুণীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য সমন ইস্যু করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন