ব্যাঙ্গালুরুতে গণধর্ষণের শিকার ২২ বছরের এক তরুণী। অভিযোগ র্যাপিডো চালকের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত যুবক শাহাবুদ্দিন এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এবিষয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “২০১৯ থেকে অভিযুক্ত যুবক র্যাপিডোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত জানুয়ারিতে পড়শি এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে তার জেল হয়। এক মাসের মাথায় জামিনে মুক্ত পান অভিযুক্ত। তিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ব্যাঙ্গালুরুতে ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। অভিযুক্ত যুবকের সকল নথি যাচাই করে দেখছে পুলিশ”। এদিকে এই ঘটনায় র্যাপিডোর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “সংস্থা এই ধরণের ঘটনা কোন ভাবেই বরদাস্ত করে না। অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যে সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে”।
অভিযুক্ত র্যাপিডো চালকের বিরুদ্ধে যাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তরুণীর অভিযোগ, র্যাপিডো বাইক চালক তার তিন বন্ধু মিলে তার সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চালকসহ তিনজনকে আটক করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী মধ্যরাতে রাইড শেয়ারিং অ্যাপলিকেশন 'র্যাপিডো'-তে বাইক বুক করেছিলেন আরেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার সময় তরুণীও মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এই সুযোগে চালক ওই তরুণীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় যেখানে তার তিন বন্ধু আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। এর পর তরুণীর ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার।পুলিশ জানায়, ঘটনাটি শুক্রবার ও শনিবার মধ্যরাতে এবং ঘটনাটি ঘটেছে থানার ইলেক্ট্রনিক সিটি এলাকায়। সূত্রের খবর, মেয়েটি কেরালার বাসিন্দা। বাইক চালকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতা তরুণী।
আরও পড়ুন : < আজই নারকো টেস্ট আফতাবের, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় বিস্ফোরক দাবি >
তিনি জানান, ‘অভিযুক্ত তার আরও তিন বন্ধু মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে’। বর্তমানে পুলিশ সকল অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে বাইক চালক ও তার তিন বন্ধু রয়েছে। পুলিশ কমিশনার প্রতাপ রেড্ডি বলেন, “মেয়েটি এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়ার জন্য 'র্যাপিডো' অ্যাপ থেকে বাইক করেন। এর মধ্যেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা”। পুলিশ আরও জানিয়েছে ‘মেয়েটি যখন তার বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য যখন র্যাপিডো বুক করে। তখন সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। র্যাপিডো বাইকের চালক এই সুযোগ নিয়ে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় যেখানে তার তিন বন্ধু উপস্থিত ছিল। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক মহিলাও’।
তবে মেয়েটি নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফরেনসিক দলের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের একজনের পুরনো অপরাধ রেকর্ড রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর র্যাপিডো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আমরা পুলিশকে সব ধরনের সাহায্য করেছি এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করেছি। গ্রাহক নিরাপত্তা সংস্থার অগ্রাধিকার”।