মশাখেকো মাংসাশী গাছ লাগাচ্ছে উত্তরাখণ্ড, চামোলিতে মিলল বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ, হইচই বিশ্বজুড়ে

এই আবিষ্কার বিখ্যাত জাপানি বোটানি জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই জার্নালের বয়স ১০৬ বছর। উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস ও উদ্ভিদবিদ্যার ওপর বিভিন্ন তথ্য এই জার্নালে প্রকাশিত হয়।

এই আবিষ্কার বিখ্যাত জাপানি বোটানি জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই জার্নালের বয়স ১০৬ বছর। উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস ও উদ্ভিদবিদ্যার ওপর বিভিন্ন তথ্য এই জার্নালে প্রকাশিত হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
himalaya

পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে প্রথমবারের মতো মিলল বিরল প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান। এই আবিষ্কারটি উত্তরাখণ্ডে কীটনাশক উদ্ভিদের একটি প্রকল্প তৈরির জন্য গবেষণা চলছিল। তারই মধ্যে পাওয়া গেল এই সুসংবাদ। উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পশ্চিম হিমালয়ে Utricularia Furcellata নামে এই অত্যন্ত বিরল মাংসাশী প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া গিয়েছে। এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব চামোলি জেলার বন বিভাগের। এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্য বনপাল (গবেষণা) সঞ্জীব চতুর্বেদী।

Advertisment

তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডেই না, সমগ্র পশ্চিম হিমালয়ে প্রথমবার এই উদ্ভিদ দেখা গেল।' রেঞ্জ অফিসার হরিশ নেগি ও জুনিয়র রিসার্চ ফেলো মনোজ সিংয়ের নেতৃত্বে বনবিভাগের গবেষক দলটির এই আবিষ্কার বিখ্যাত জাপানি বোটানি জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই জার্নালের বয়স ১০৬ বছর। উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস ও উদ্ভিদবিদ্যার ওপর বিভিন্ন তথ্য এই জার্নালে প্রকাশিত হয়।

সঞ্জীব চতুর্বেদী জানান, এটি উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের কাছে একটি গর্বের মুহূর্ত। কারণ, এখানকার আবিষ্কার জাপানের বিখ্যাত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি চলছিল কীটনাশক উদ্ভিদ নিয়ে। এই উদ্ভিদটি হল ব্লাডার ওয়ার্টস। যা একটি নির্দিষ্ট মাংসাশী উদ্ভিদ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। চতুর্বেদী বলেন, 'এই উদ্ভিদ ফাঁদে ফেলে পোকামাকড় থেকে মশার লার্ভা-সহ নানা কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। মশার বাড়বাড়ন্ত রুখতে এই উদ্ভিদের ব্যবহার করতে চায় উত্তরাখণ্ড সরকার।'

আরও পড়ুন- জি৭ বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধকে প্রাধান্য, রাশিয়া থেকে সোনা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি

Advertisment

চতুর্বেদী জানান, উত্তরাখণ্ড সরকার যে উদ্ভিদের চাষ করতে চাইছে, তা ফাঁদ পেতে শিকার ধরে। এজন্য তারা পাতায় দরজার আকৃতি তৈরি করে। শিকার তার মধ্যে প্রবেশ করলে, দরজা বন্ধ করে দেয়। শিকার রস খাওয়ার জন্য পাতায় বসলেই সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়াটি তৈরি করে এই গাছ।

অন্যান্য মাংসাশী উদ্ভিদের মত এই গাছও মিঠে জল ও ভেজা মাটিতে পাওয়া যায়। মাংসের মাধ্যমে পুষ্টি সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকায় স্বাভাবিক উদ্ভিদের তুলনায় এদের সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতি একটু ভিন্ন। চতুর্বেদী জানান, মাংসাশী উদ্ভিদের ঔষধি উপকারিত অপরিসীম। সাম্প্রতিক গবেষণায় তা জানা গিয়েছে। আর, এরপরই বিজ্ঞানীরা মাংসাশী উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণায় আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন।

Read full story in English

nepal. Bhutan. Himalaya region Uttarakhand Forest Department