শেষ পর্যন্ত কী কৃষক ঐক্যে ফাটল ধরল? প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কৃষকদের প্রতিবাদ থেকে সরে গেল রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ান (ভানু)।
রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংঘের নেতা ভি এম সিং বলেছেন, 'তিন কৃষি আইন বাতিল না করা ও ন্যানতম সহায়ক মূল্য নিশ্চয়তা আইন মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলন চলবে। কিন্তু হিংসাত্মক পথে তা চলতে পারে না। আমরা এখানে মানুষদের শহিদ করতে বা তাদের মারধর করার জন্য আসিনি। অন্য দিশায় যারা আন্দোলন পরিচালিত করতে চাইছেন আমরা তাদের সমর্থন করছি না। কৃষকদের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে। তবে যৌথ মঞ্চ থেকে তাঁর সংগঠন সরে যাচ্ছে।'
I am deeply pained by whatever happened in Delhi yesterday and ending our 58-day protest: Thakur Bhanu Pratap Singh, president of Bharatiya Kisan Union (Bhanu) at Chilla border pic.twitter.com/5WNdxM9Iqo
— ANI UP (@ANINewsUP) January 27, 2021
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ানের নেতা ভানু প্রতাপ সিং প্রজাতন্ত্র দিবসে হিংসার ঘটনার নিন্দা করে কৃষকদের প্রতিবাদমঞ্চ থেকে নিজেদের পৃথক হওয়ার ঘোষণা করেছেন।
অন্যদিকে কৃষকদের যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বুধবার ফের আন্দোলনকারীদের শান্তি বজায় রাখতে আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে।
কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে মঙ্গলবার রাজধানীতে হামলার ঘটনায় যোগেন্দ্র যাদব, রাকেশ টিকায়েত সহ মোট দশজন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। রায়ট, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ডাকাতি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে ১০ জেলায় মোট ২২টি এফআইআর পুলিশ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক সিনিয়ার পুলিশ অফিসার।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রায়ট, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০০-র বেশি পুলিশ কর্মী।
লালকেল্লা সহ রাজধানী শহরের একাধিক জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোতায়ের রয়েছে বাড়ছি আধা সেনা।
তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজপথে ট্রাক্টর ব়্যালি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কৃষক নেতারা। আদালত এই ব়্যালির উপর স্থগিতাদেশ জারি না করায় রবিবার কৃষক নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক হয়। স্থির হয় দিল্লি সীমানা দিয়ে কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ে , কেজিপি এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত ব়্যালি যাবে শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু, মঙ্গলবার ব়্যালি শুরু হওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। রুট বদলে মধ্য দিল্লির দিকে যেতে শুরু করে ট্রাক্টর ব়্যালি। ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা যাত্রা শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্য বা জলকামানেও কাজ হয়নি। রীতিমত হিমশিম অবস্থায় পড়ে পুলিশ। পরে কৃষকরা লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে ভাঙচুর, জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ উটেঠেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে।
গতকালের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন