Advertisment

করোনা নিয়ে তাঁর ভাইরাল হওয়া বক্তব্য ভুয়ো, জানালেন খোদ রতন টাটা

তন টাটা টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া মঞ্চে যথেষ্ট সক্রিয়। ইনস্টাগ্রাম-এ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ২২ লক্ষ ছাড়িয়েছে।   

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ratan tata fake news

রতন টাটা, ফাইল ছবি

"আমরা স্রেফ মহামারীর (এপিডেমিক) বিরুদ্ধেই লড়ছি না' আমরা লড়ছি 'তথ্যমারী' বা 'ইনফোডেমিক'-এর বিরুদ্ধেও।" সম্প্রতি এমনটাই বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO-এর ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। তিনি আরও বলেছেন যে, "ভুয়ো খবর এই ভাইরাসের চেয়েও দ্রুত এবং সহজে ছড়ায়, এবং ঠিক ততটাই বিপজ্জনক হয়"। দুনিয়া জুড়ে যখন COVID-19 মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা ভুয়ো খবর, এবং অসমর্থিত তথ্যের ফলে আরও ঘোরালো হচ্ছে সমস্যা।

Advertisment

শনিবার এই ভুয়ো খবরের সমস্যার সঙ্গে জুড়ল টাটা সন্স-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটার নামও। তিনি নিজেই টুইটারে পোস্ট করে জানালেন, ভারতীয় অর্থনীতির ওপর করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব সংক্রান্ত তাঁর তথাকথিত যে বক্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, তা আদৌ তাঁর নয়। "আমি এমন কথা বলিও নি, লিখিও নি। হোয়াটসঅ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যাই ঘুরুক, আপনাদের যাচাই করে নিতে অনুরোধ করব। আমার কিছু বলার থাকলে আমার নিজস্ব অফিশিয়াল মাধ্যমেই বলব। আপনারা সুরক্ষিত থাকুন, সাবধানে থাকুন," বলেন ভারতের এই কোটিপতি সমাজহিতৈষী।

যে বক্তব্যটি রতন টাটার মুখে বসানো হয়েছে, তাতে 'ভারতীয় অর্থনীতির পতনের' ভবিষ্যদ্বাণী করা 'বিশেষজ্ঞদের' কড়া সমালোচনা করে তিনি বলছেন, "আমি এই বিশেষজ্ঞদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না, কিন্তু এটা বলতে পারি যে তাঁরা প্রেরণা এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রচেষ্টার মূল্য সম্পর্কে কিছুই জানেন না।"

যাঁদের জানা নেই তাঁদের জন্য বলা, রতন টাটা টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া মঞ্চে যথেষ্ট সক্রিয়। ইনস্টাগ্রাম-এ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ২২ লক্ষ ছাড়িয়েছে।

অন্যদিকে ভুয়ো খবরের দাপট রুখতে এবং যাঁরা এই ধরনের খবর ছড়ান, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে ২০০৫-এর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-এর ৫৪ ধারার আওতায় কেউ বিভ্রান্তিমূলক বিপদসঙ্কেত বা সেই বিপদের তীব্রতা সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করলে তার এক বছর পর্যন্ত হাজতবাস এবং জরিমানাও হতে পারে।

Advertisment