এক শিল্পপতির না, বরং দেশের আসল রতনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রতন নাভাল টাটা। বিশেষ ব্যক্তিদের অনেকেই সমাজ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে শোক জ্ঞাপন করেছেন। কিন্তু, যেই মানুষটা নিজের কাজের মাধ্যমে এত সফল, সারাদেশের মানুষ তাঁকে ভালবাসলেও ব্যক্তিগত জীবনে বিশেষ সম্পর্ক থেকে বঞ্চিত ছিলেন তিনি।
যত বয়স বাড়ছিল, একাকীত্ব গ্রাস করেছিল তাঁকে। ৮৫ বছরের শিল্পপতি জানিয়েছিলেন, আপনি জানেন না একা থাকা কতটা দুঃসহ! যতদিন না পর্যন্ত আপনি একা থাকার মজবুরি না অনুভব করছেন, বুঝতে পারবেন না। সারা দেশের মানুষের জন্য এত কাজ করেছেন, কিন্তু প্রেম তাঁর জীবনে ছিল অধরা। একবার, আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। আর বিয়ে করা হয় ওঠেনি তাঁর।
১৯৯১ সালে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছিলেন টাটা অ্যান্ড সন্সের। কিন্তু, তাঁর জীবনে দুঃখ ছিল সাংঘাতিক। যাকে ভালবেসেছিলেন, তাঁকে পাওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। বিদেশে যখন পড়াশোনা করছেন তিনি, তখনই একজনের প্রেমে পড়েছিলেন। সূত্র বলে...
অসমাপ্ত প্রেম কাহিনীর জন্যই নাকি আর কাউকে বিয়ে করতে পারেননি তিনি। লস এঞ্জেলেসে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতেন। সেখানেই একজনের সঙ্গে প্রেমের বাঁধনে বেঁধেছিলেন তিনি। বিয়ে করার কথাও ছিল। তখনই হঠাৎ করে তাঁর ঠাকুমা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। রতন ভেবেছিলেন, যাকে তিনি ভালবাসেন, সেও হয়তো তাঁর সঙ্গে ভারতে চলে আসবেন। কিন্তু না, সেটা হয়নি। বরং ১৯৬২ সালের ভারত চিন যুদ্ধের কারণে, সেই মেয়েটিকে তাঁর বাবা মা এদেশে আসতে দেননি। যে কারণেই, তাঁর এই সম্পর্ক তখনই ভেঙে যায়। তারপর থেকেই ব্যাচেলর রয়ে যান তিনি।
তিনি শুধু একজন শিল্পপতি না। বরং বহু মানুষের জীবনের কান্ডারি বটে। যেমন মানুষকে তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন। তেমনই, দেশের নানা কাজে হাত লাগিয়েছেন। সকলের মুখে একটাই কথা, বিজনেস টাইকুন না বরং, এমন একজন মানুষ চলে গেলেন যিনি অর্থের থেকে বেশি দেশ এবং তাঁর কোম্পানির সকল কর্মচারীর মঙ্গলের কথা ভাবতেন।
উল্লেখ্য, তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সর্বত্রই। বলিউড তারকা থেকে রাজনীতিবিদ, এমনকি ক্রীড়া মহলের অনেকেই শোকাহত তাঁর প্রয়াণে।