বেসরকারি হাসপাতালে ডোজপ্রতি কোভিশিল্ড ৬০০ আর কোভ্যাকসিন ১,২০০ টাকা। করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই খরচটাও একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছিল নিম্নমধ্যবিত্তের কাছে। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। সেদিকে তাকিয়ে দাম কমানো হল ডোজের। বুস্টার বাধ্যতামূলক। তা নিতে গেলে এবার থেকে ২২৫ টাকা দিলেই চলবে। তা সে কোভিশিল্ডই নিন, বা কোভ্যাকসিন। মানে, ৮১ শতাংশ ও তারও বেশি দাম কমানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে দাম কমিয়েছে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো। ঘোষণামতো, ১০ এপ্রিল থেকে দেশের বেসরকারি কেন্দ্র থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে। এতদিন প্রথম শ্রেণির কোভিডযোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্বরাই বুস্টার বা প্রিকশনারি ডোজ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। এবার ১৮ ঊর্ধ্ব যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ৯ মাস কেটে গেলে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এজন্য কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সেই মতো টিকা মিলবে। বেসরকারি জায়গা থেকে আপাতত মিললেও, সরকারি জায়গা থেকে কবে বুস্টার ডোজ পাওয়া যাবে, সেকথা এখনও জানায়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
শনিবার দাম কমানোর কথা ঘোষণার পর, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা টুইট করেছেন, 'আমরা এটা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরে বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কোভিশিল্ড টিকার প্রতিডোজের দাম ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২২৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ আমরা আবারও বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রশংসা করছি।' ভারত বায়োটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুচিত্রা এলা টুইট করেছেন, 'আমরা সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সতর্কতামূলক ডোজ উপলব্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কোভ্যাকসিনের দাম প্রতিডোজ ১,২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২২৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ঊর্ধ্বদের ৯৬ শতাংশই প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, করোনা এখনও চলে যায়নি। নতুন রূপে ফিরে আসতে পারে। তা যাতে ক্ষতিকারক চেহারা না-নিতে পারে, সেজন্যই বুস্টার ডোজ নেওয়া আবশ্যিক। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read story in English