পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ইঁদুরের আতঙ্ক, ইঁদুরের জ্বালায় রাতের ঘুম উড়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইতদের। প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে মন্দিরে ইঁদুরের আতঙ্ক নতুন কিছু নয়। তবেন অতিমারি পরিস্থিতিতে ২ বছর ধরে ভক্তদের জন্য মন্দির বন্ধ থাকায় ইঁদুরের তাণ্ডব বেড়েছে আগের থেকে অনেকটাই। মন্দিরের রীতি অনুসারে ইঁদুর নিধন নিষিদ্ধ, তাই প্রশাসন তাদের জীবিত ধরার জন্য ফাঁদ তৈরি করে এবং তারপর মন্দিরের বাইরে সেগুলিকে ছেড়ে দেয়। ইঁদুরের জ্বালায় রাতের ঘুম উড়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইতদের।
এখন আশঙ্কা কাঠের তৈরি দেব-দেবীর মূর্তিরও ক্ষতি করতে পারে এই দস্যি ইঁদুর। সোমবার খাসাপদ নীতি চলাকালীন মন্দিরে দেখা গিয়েছে, দেবমূর্তির পোশাক ক্ষতবিক্ষত করে কামড়ে তছনছ করছে ইঁদুর। দেবতাদের পোশাক থেকে শুরু করে মালা চিবিয়ে খেয়েছে এবং রত্ন সিংহাসনে দেওয়া দেবতার প্রসাদেও ভাগ বসিয়েছে। এমনকি মন্দিরের গর্ভগৃহেও ময়লা ছড়িয়ে যা-তা কাণ্ড করেছে ইঁদুররা।
মন্দির প্রশাসন সম্প্রতি ইঁদুর, বানর এবং পায়রা মোকাবেলায় একটি ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। এক ভক্তের দান করা একটি মেশিন বসানো নিয়েও আপত্তি তোলে সেবাইতরা। তাদের দাবি যন্ত্রের শব্দ ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে, এরপরে এই মেশিনটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
সোমবারের আচার-অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন মন্দিরের প্রবীণ সেবাইত বিনায়ক দশমোহাপাত্র, তিনি বলেন, “দেবতাদের শ্রী অঙ্গের (পবিত্র কাঠের শরীর) কোনও ক্ষতি হয়নি, যদিও ইঁদুরেরা পোশাক, ফুল এবং তুলসী পাতা খেয়ে ছিঁড়ে নষ্ট করেছে। সাধারণত রাতে মন্দির বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে, ইঁদুরের তাণ্ডব বেড়ে যায়”।
সোমবারের আচার-অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরেক সাবাইত রামচন্দ্র দশমোহাপাত্র বলেছেন, "আমরা মন্দির প্রশাসনকে এর থেকে মুক্তি পেতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।" জবাবে, শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। এবং দ্রুত বিষয়টি সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন। এসজেটিএ-র এক আধিকারিক বলেছেন, "দেবতাদের নিয়মিত চন্দন ও কর্পূর দিয়ে পালিশ করা হচ্ছে।"