রাম মন্দিরের ভূমিপুজোকে কেন্দ্র করে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত অযোধ্যা থেকে প্রায় ৬৫০ কিমি দূরের গৌতমবুদ্ধ নগরের রাবণ মন্দিরের পুরোহিত৷ উচ্ছ্বাস এতটাই যে বুধবার ভুমি পুজো সম্মন্ন হওয়ার পর পর গোটা অঞ্চলে লাড্ডু বিতরণ করবেন বিশখারের রাবণ মন্দিরের পুরোহিত মহন্ত রামদাস।
'অযোধ্যায় শেষ পর্যন্ত রামমন্দির তৈরি হচ্ছে। এতে আমি খুব খুশি। আমি এই উপলক্ষে লাড্ডু বিলি করব, সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেব।' জানিয়েছেন মহন্ত রামদাস।
রাবণ ছাড়া রামায়ণ অসম্পূর্ণ। রামও তাই। এই প্রসঙ্গেই রাবণ মন্দিরের পুরোহিত হন্ত রামদাস বলেন, 'রাবণ যদি না থাকতো তাহলে শ্রী রামকে কেউ চিনতেন না। ভগবান রাম ছাড়া আবার রাবণও অপরিচিত থাকত।' স্থানীয় প্রচোলন যে বিশরাখেই হল রাবণের জন্মভূমি। তাই বিশরাখ 'রাবণ জন্মভূমি' বলেও পরিচিত।
রাবণ মাহাত্ম্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে মহন্ত বলেন, 'তিনি জ্ঞানী ও চরিত্রবান পুরুষ ছিলেন। সীতাকে অপহরণ করলেও মহুলা নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে অশোক বটিকায় আটকে রেখেছিলেন। নিজের বাড়িতে নিয়ে যাননি। তাই রামকে মর্য়াদা পুরুষ বলা হলে রাবণকেও মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব বললে গণ্য করা উচিত।'
রাবণের মন্দির হলেও বিশরাখে রয়েছে শিব-পার্বতী ও কুবেরের মূর্তি।
'রাতেও বিশরাখের রাবণ মন্দির বন্ধ হয় না। শিবের পুজোর জন্য সেখানে মূলত পূন্যার্থীরা আসেন। একই সঙ্গে তাঁরা রাবণেরও পুজো করেন। প্রায় ২০ শতাংশ ভক্ত রাবণ উপাসনা করেন' বহলে দাবি পুরোহিত মহন্ত ভক্তের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন