সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন গ্রহণ করবে না বলছে যে সব রাজ্য, তাদের 'সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা' স্মরণ করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি এই বিলে স্বাক্ষর করায় তা এখন আইন। এরপরও একাধিক রাজ্য এই আইনকে গ্রহণ করবে না বলায়, তাদের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে 'সঠিক আইনি পরামর্শ' গ্রহণের পরামর্শ দিলেন পাটনা সাহিবের সাংসদ। দেশের মধ্যে প্রথম মঙ্গলবারই কেরালা বিধানসভায় সিএএ খারিজের পক্ষে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপরই বুধবার এ বিষয়ে সরব হলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। বিস্ময় প্রকাশ করে রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, শপথ গ্রহণ করে যাঁরা সংবিধান রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁরাই এখন 'অসাংবিধানিক' বিবৃতি দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কেরালা বিধানসভায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতা পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা। এর আগে কেরালায় এই দুই দল যৌথভাবে সিএএ বিরোধী পদযাত্রাও করেছে।
আরও পড়ুন: নিজেদের পারমাণবিক ক্ষমতার খতিয়ান পরস্পরের হাতে তুলে দিল ভারত-পাকিস্তান
সংবিধানের ২৪৫ নং অনুচ্ছেদের ক্লজ ২-এর প্রেক্ষিতে এদিন কেরালা বিধানসভার সিএএ বিরোধী প্রস্তাবকে খারিজ করে দেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, কেন্দ্রীয় তালিকাধীন যে কোনও বিষয়ে সংসদ আইন প্রণয়ন করতে পারে এবং নাগরিকত্ব তেমনই একটি বিষয়।
কেরালা বিধানসভার এই পদক্ষেপকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে জানানো হয়েছে যে তাদের রাজ্যেও এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কোনও স্থান নেই। এই প্রেক্ষাপটে কেরালা বিধানসভায় প্রাস্তাব পাশ হতেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, "বিজয়নের আরও উপযুক্ত আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। নাগরিকত্বের মতো বিষয়ে কেবল সংসদেরই অধিকার রয়েছে আইন প্রণয়নের। কেরালা বিধানসভা-সহ অন্য কোনও রাজ্য আইনসভার এ ক্ষেত্রে কোনও অধিকারই নেই।" তিনি আরও বলেন, আইনই সমগ্র দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে এবং এই আইন সম্পূর্ণ সঠিক।
Read the full story in English