করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে গোটা দেশ। এই আবহে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে নানা দিক নিয়ে কথা বললেন তথ্য়প্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে কীভাবে সামাল দিয়েছেন?
তথ্য় প্রযুক্তিক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য়ের পথ বিঘ্নিত না করাটাই প্রথম চ্য়ালেঞ্জ। প্রথমেই আমি ওয়ার্ক ফর্ম হোমের (বাড়ি থেকে কাজ) অনুমতি দিয়েছিলাম...আমি আন্দাজ করতে পারি, করোনা পরবর্তী সময়ে অন্য় দুনিয়া দেখতে চলেছি আমরা...ওয়ার্ক ফর্ম হোম নতুন রীতি হতে পারে। আমি আমার বিভাগকে এমনভাবে কাজ করতে বলেছি যাতে ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেল লাভজনক ও উপকারী হয়।
লকডাউনে কী করতে হবে আর কী করতে হবে না, এ নিয়ে যখন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে গোটা দুনিয়া, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদী যে ঝুঁকি নিয়েছেন, তাতে আমি আমার নেতার জন্য় গর্বিত...সিভিল সার্ভিস নয়া উচ্চতায় পৌঁছেছে...প্রধানমন্ত্রী একটাই লক্ষ্য় স্থির করেছেন, যা হল প্রাণ বাঁচানো। প্রধানমন্ত্রীর এই লক্ষ্য়ে ব্য়বসায়ী গোষ্ঠীও এগিয়ে এসেছে...
চিনের কোম্পানিগুলো ফের কাজ করছে...
চিনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য় করতে চাই না। বহু দেশ ওদের সঙ্গে বাণিজ্য় সংযোগ বন্ধ রেখেছে...আমার দূরদৃষ্টি বলছে, গোটা দুনিয়া ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকবে আগামী দিনে...
আর্থিক কাঠামো ধাক্কা খেয়েছে এবং কেন্দ্রের থেকে অনেক অনুদান চাইছে রাজ্য়...
প্রধানমন্ত্রী টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখছেন। ইতিমধ্য়েই ভালভাবে কাজ হয়েছে...আগামী দিনে আর যা যা দরকার হবে, তা করা হবে।
লকডাউন ঘোষণার সময় অসংগঠিত ক্ষেত্র, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবা হয়নি মনে হয়...
আপনি সবটা জানেন না। প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক আমার রাজ্য় থেকে আসেন। বিহার সরকার প্রায় ১৩টি ফিডিং সেন্টার (খাবার দেওয়ার কেন্দ্র) চালু করেছে...যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভালভাবে যত্ন নিচ্ছে রাজ্য়গুলো, তা প্রশংসনীয়...আনন্দ বিহার থেকে এটা শুরু হয়েছিল এবং স্থানীয় প্রশাসন এটা এড়াতে পারত। পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেক জায়গাতেই আটকানো হয়েছে।
অনেকে বলছেন, পাসপোর্ট হোল্ডারদের থেকেই ভাইরাস এসেছে, কিন্তু সমস্য়ায় পড়েছেন রেশনকার্ড হোল্ডাররা
দেরাদুনে আমার মেয়ে থাকে। ওর থেকে অনেক ফোন কল পেয়েছি। আমার ছেলে কোটায় থাকে। ওর থেকেও ফোন পেয়েছি। এটা উদ্বেগের মতোই। আমি পরামর্শ দিতে পারে। পাসপোর্ট নিয়ে যেটা বললেন, সেটা অনেকটাই সত্য়। যার উদাহরণ, নিজামুদ্দিনের ঘটনা। তবলিঘি ইস্য়ু না হলে হয়তো পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকত।
বারবার এ ঘটনাকে তুলে ধরে বিষয়টি সাম্প্রদায়িক করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভাইরাস ভৌগোলিক এলাকা, ধর্ম দেখে হয় না...যাঁরা অন্য়ায় করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু কারওরই সাম্প্রদায়িক করার চেষ্টা করা ঠিক নয়...ধর্মীয় নেতাদের কাছে আর্জি রাখছি...ডাক্তারদের সঙ্গে গোলমাল করবেন না।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন