অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে “শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বশাসনের অধিকার থাকা জরুরি। তবে কেন্দ্রের সঙ্গে শীর্ষ ব্যাঙ্কের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আর্থিক সমস্যা এলে তার সম্ভাব্য সমাধান নিয়েও নিয়মিত আলোচনা হয় সরকার এবং শীর্ষ ব্যাঙ্কের”।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে জনসমক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক ভাষণে। বিরল আচার্য বলেন, কেন্দ্র আরবিআই-এর স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, কেন্দ্র এবং আরবিআই -এর মতোনৈক্য সকলের সামনে না এনে মিটিয়ে নেওয়াই শ্রেয়।
আরও পড়ুন, ব্যাঙ্কগুলো যখন যাকে তাকে ঋণ দিচ্ছিল, আরবিআই-এর চোখ কোন দিকে ছিল?: জেটলি
এই ঘটনার পরপর অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে সাংবাদিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আরবিআই আইন অনুসারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বশাসনের অধিকার রয়েছে। ভারত সরকার এই অধিকারকে সম্মান করে। কেন্দ্র এবং আরবিআই উভয়েই মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে চলেছে”।
“সমস্যার সমাধানে একাধিকবার নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে আরবিআই এবং কেন্দ্র। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্যন্ত তা জনসমক্ষে আনা হয় না”, জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। কেন্দ্রের বিবৃতি প্রসঙ্গে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম টুইট করে বলেন, “সরকার অবশ্যই কিছু একটা লুকোচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে নিশ্চয়ই একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরবিআই আইন-এর ৭ নম্বর ধারা নিয়ে সরকার শীর্ষ ব্যাঙ্ককে কী বলেছে, তা কি সরকার সর্বসমক্ষে আনবে”?
Read the full story in English