Advertisment

ব্যাঙ্কগুলো যখন যাকে তাকে ঋণ দিচ্ছিল, আরবিআই-এর চোখ কোন দিকে ছিল?: জেটলি

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে জনসমক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক ভাষণে। বিরল আচার্য বলেন কেন্দ্র আরবিআই-এর স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পাটেলের সঙ্গে বৈঠকের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন অর্থ মন্ত্রী। অতীতে বাড়তি ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে না পারায় আরবিআই-এর সমালোচনায় ফেটে পড়লেন অরুণ জেটলি।

Advertisment

'ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম' আয়োজিত ইন্ডিয়া লিডারশিপ সামিটে জেটলি বললেন, "২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব জুড়ে ষখন আর্থিক সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, অর্থনীতিকে কৃত্রিম ভাবে সচল রাখার জন্য ব্যাঙ্কগুলোকে বলা হয়েছিল যত খুশি ঋণ দিতে। তখন চোখ অন্যদিকে সরিয়ে রেখেছিল আরবিআই"।

আরও পড়ুন, সিবিআই-এর বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতেই সরানো হয়েছে অলোক ভার্মাকে: জেটলি

ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে এক বছরের মধ্যে দেশের ক্রেডিট গ্রোথের হার এক লাফে ১৪ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশে নিয়ে গিয়েছিল তৎকালীন সরকার", বললেন জেটলি। দেশের আর্থিক নীতিতে স্বশাসন বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বস্তে চলেছেন আরবিআই গভর্নর উর্জিত পাটেল এবং অরুণ জেটলি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে জনসমক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক বক্তৃতায়। বিরল আচার্য বলেন কেন্দ্র আরবিআই-এর স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, কেন্দ্র এবং আরবিআই -এর মতোনৈক্য সকলের সামনে না এনে মিটিয়ে নেওয়াই শ্রেয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কেন্দ্র এবং শীর্ষ ব্যাঙ্কের মতের অমিল প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Read the full story in English

Advertisment