'আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে যে কোনও সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত', শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, যেগুলির একযোগে শুনানি হচ্ছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার আদালতে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল (এসজি), কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে যে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি, জম্মু-কাশ্মীরে যে কোনও সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কেন্দ্র। শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ সুপ্রিম কোর্টে এই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এ জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভোটার তালিকা।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশনের উপর বেশ কয়েকদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে। আজকের শুনানি চলাকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি ৩৭০ ধারা অপসারণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হন। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন করবে। প্রথমে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এর জন্য ভোটার তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্র। কবে নির্বাচন হবে তা ঠিক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন যে পঞ্চায়েত এবং পৌর কর্পোরেশনের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। তিনি আদালতকে বলেন, তিনটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো ত্রিস্তর ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। প্রথমে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এরপর পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। লেহে কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এখন আগামী মাসে কার্গিলে কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার আদালতকে আরও জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে । পাথর ছোড়ার মতো ঘটনা ৯৭.২% হ্রাস পেয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা কর্মীদের মৃত্যু ৬৫.৯% হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩৭. ধারা বাতিল করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে।