ছেলের পর গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই। শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশে কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে তার ছেলে ১৯ বছর বয়সি আসাদ আহমেদ নিহত হওয়ার মাত্র একদিন পরে এই ঘটনা ঘটল। টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গিয়েছে, আতিক আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় কমপক্ষে দু’জন ব্যক্তি পিস্তল উঁচিয়ে তাদের ওপর পরপর গুলি চালায়। এর উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আহমেদ ও তার ভাইকে গুলি করার পর তিন আততায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যাসহ প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের একটি পুলিশ দল আতিক আহমেদকে, গুজরাটের সবরমতি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে উমেশ পাল অপহরণ মামলায় আদালতে হাজির করার জন্য ২৬ মার্চ প্রয়াগরাজে নিয়ে আসেন।
গত ২৮ মার্চ উমেশ পাল অপহরণ মামলায় আতিকআহমেদসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এর মাঝেই আহমেদ সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, দাবি করেছিলেন যে উমেশ পাল হত্যা মামলায় তাকে এবং তার পরিবারকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে এবং তাকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি জাল এনকাউন্টারে হত্যা করতে পারে।
শনিবার রাতে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফকে খুনের পর উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রয়াগরাজ জেলায়, যেখানে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে এবং আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আতিক আহমেদ ও আশরাফকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তারা।
ঘটনার জেরে প্রয়াগরাজে ১৭ জন পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে আতিক হত্যা নিয়ে যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি অভিযোগ করেন রাজ্য চালাতে "বন্দুকের শাসন" ব্যবহার করছে বিজেপি। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'মৃত্যুর জন্যও আমি প্রস্তুত’...': 'হুমকি' উপেক্ষা করেই আতিক আহমেদের হত্যার পরে উত্তরপ্রদেশ সফরে আসছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।