মধ্যস্থতাকারী কমিটির বাকি তিন সদস্যকেও সরিয়ে দিন। নয়তো বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমনই আর্জি জানাল কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (লোকশক্তি)। কৃষি আইন নিয়ে গঠিত কমিটির সদস্যদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কৃষকরা। জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। এবার সেই সদস্যদের সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন প্রতিবাদী কৃষকরা।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের আইনজীবীর দাবি, কমিটিতে এই তিন সদস্য থাকলে বিচার প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হতে পারে। কারণ, অশোক গুলাটি, প্রমোদ কুমার যোশী ও অনিল ঘানওয়াত ইতিমধ্যেই কৃষি আইনকে সমর্থন করেছেন। ফলে তাঁরা কীভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কৃষকদের কথা শুনবেন? তাই কমিটি থেকে তিন সদস্যকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত প্রায় দু'মাস ধরে দিল্লি সীমানায় তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কেন্দ্র ও কৃষক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে নয় দফা আলোচনাতেও কোনও সমাধানসূত্রে বেরোয়নি। এরমধ্যেই কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কৃষকদের সম্পূর্ণ দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সর্বোচ্চ আদালত। কমিটির সদস্যরা হলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি ভুপিন্দর সিং মান, কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, শ্বেতকারী সংঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত, এবং আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি বিশেষজ্ঞ প্রমোদ কুমার যোশী। এরপরই কমিটির সদস্যেদের নিয়ে প্রশান তোলেন কৃষক ইিয়নের প্রতিনিধিরা। তারপরই কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি ভুপিন্দর সিং মান।
এদিকে ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড আটকাতে আদালতের দ্বারস্থ আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি পুলিশের মাধ্যমে এই আবেদন জানানো হয়েছে। দিল্লিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই দোহাই দিয়ে এই ব়্যালির উপর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রকের নেতৃত্বাধীন পুলিশ। এই আবেদন বাতিলের দাবিতে পালটা পিটিশান ফাইল করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। আগামিকাল, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনের শুনানি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন