মহামারীর তৃতীয় ধাক্কা সামলে সুস্থতার পথে আরও একধাপ এগোল ভারত। দেশের কোভিড (COVID-19)গ্রাফ আরও নিম্নমুখী। কমেছে সংক্রমণ। তবে মৃত্যুর হারে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড পজিটিভ ২৭ হাজার ৪০৯ জন। সোমবারের তুলনায় যা প্রায় ২০ শতাংশ কম। মৃত্যু হয়েছে ৩৪৭ জনের। একদিনে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২,৮১৭ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৭.৮২ শতাংশ। এই হার বেশ সন্তোষজনক বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমহল। তবে কি ভারত থেকে এবার বিদায় নিতে চলেছে করোনা? যদিও আইসিএমআর আগেই জানিয়েছেন আগামী মার্চ থেকে কমবে আক্রান্তের সংখ্যা সুস্থ হবে দেশ। সেই সঙ্গে কমবে মৃত্যুহারও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১২৭ জন। সোমবারের তুলনায় যা ৫৫ হাজার ৭৫৫ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। পজিটিভিটি রেট ২.২৩ শতাংশ, যা ক্রমশ নিম্নমুখী। এখনও পর্যন্ত এই মহামারী প্রাণ কেড়েছে দেশের মোট ৫ লক্ষ ৯,৩৫৮ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের মোট ৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৫৮ জন।
যদিও কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সংক্রমণের শীর্ষে কেরল-সহ মোট ৫ রাজ্য। কেরলে একদিনেই কোভিড পজিটিভ ৮৯৮৯ জন। তারপর রয়েছে মিজোরাম, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের প্রায়৩৩ শতাংশই কেরলের বাসিন্দা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একাধিক নয়া স্ট্রেন বারে বারেই সব হিসেব ওলোট পালট করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছেন যে কোন মুহুর্তে আরও একাধিক স্ট্রেনের হামলার মুখে পড়তে হবে বিশ্ববাসীকে তার জন্য টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংস্থা।
ইতিমধ্যে ভারতে প্রায় ১৭৩ লক্ষের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। সংক্রমণ কমতে থাকায় বিভিন্ন রাজ্যে ছোটদের স্কুলও খুলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাতেও বুধবার থেকে তা খুলে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশে ১৭৩ কোটির বেশি করোনা টিকা ডোজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছ থেকে সুপারিশের পরই শুরু হবে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের টিকাদানের কাজ। দেশের টিকাদান কর্মসূচির অধীনে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৭৫ শতাংশ টিকার ডোজ পেয়েছেন বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ৯৬ শতাংশ এবং টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন ৭৭ শতাংশ মানুষ।