ধাক্কা খেল ভারত বায়োটেক। আবেদন সত্ত্বেও কোভ্যাক্সিকে ছাড়পত্র দিল না আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ। জানা গিয়েছে, মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় দফার গবেষণার সম্পূর্ণ ফলাফল জমা করেনি ভারত বায়োটেক। তাই এই কঠোর পদক্ষেপ। তবে, তবেই তৃতীয় দফার গবেষণার নথি এলেই মার্কিন কর্তৃপক্ষ কোভ্যাকসিন করোনা টিকাকে ছাড়পত্র দিয়ে দিতে পারে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই মানব শরীরে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার নথি প্রকাশ করে হবে।
আমেরিকায় কোভ্যাক্সিন উৎপাদন ও বণ্টনের জন্য মার্কিন সংস্থা অকুজেনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত বায়োটেক। ওই সংস্থাই আমেরিকায় জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন টিকা ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিল। যা নাকচ করা হয়েছে।
এর আগে কোভ্যাক্সিনকে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারে তালিকাভুক্ত (এমারজেন্সি ইউজ লিস্টিং) করার কথা বলেছিল হু। ভারত বায়োটেকের থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ নথি চেয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হুয়ের ওয়েবসাইটে উল্লেখ, এমারজেন্সি ইউজ লিস্টিং বা ইইউএল তালিকাভুক্ত হতে ভারত বায়োটেক আগ্রহ দেখিয়েছে। সেই পদ্ধতি সম্পূর্ণ করতে সংস্থার থেকে আরও তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি মে থেকে জুন মাসের মধ্যে হু আর ভারত বায়োটেকের এই নিয়ে বৈঠকের কথা। যদিও মানবদেহে তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল জমা দিতে না-পারায় এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেয়নি কোভ্যাক্সিনকে। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় নথি হুয়ের যোগ্যতা মান পেরোলে বিশ্বব্যাপী সেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এখনও হুয়ের তালিকাভুক্ত নয় কোভ্যাক্সিন। এই বিষয়টিও আমেরিকায় কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন না মেলার ক্ষেত্রে বড়সবাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অকুজেনের তরফে কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের যে সব তথ্য জমা করা হয়েছে তা অসম্পূর্ণ। ফলে আরও রিপোর্ট বা তথ্যের যাচাইয়ের ভিত্তিতে ফলাফল ইতিবাচক হলেই বায়োলজিক্স লাইসেন্স অ্যাপ্লিকেশন বা বিএলএ আমেরিকায় ক্যোভাক্সিন ব্যবহারে ছাড়পত্র দেবে। অকুজেনের আবেদন খারিজ করে জানিয়েছে এফডিএ।
এরপরই দেশের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই মানব শরীরে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার নথি প্রকাশ করে হবে। পিআর জার্নাল 'গো-বিয়ন্ড'-এ তা প্রকাশ করা হবে। মার্কিন ছাড়পত্র না মিললেও ভারতে এর কোনও প্রবাব পড়বে না বলেই মনে করেন ভি কে পাল। বর্তমানে দেশে টিকাকরণের ১২ শতাংশ কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন