'ট্যুর অফ ডিউটি' বা 'অগ্নিপথ' প্রকল্পে স্থল, নৌ, বিমান- এই তিন বাহিনীর নিয়োগে আমূল বদলের প্রস্তাব জমা পড়ল। নতুন নিয়মে নিযুক্ত সেনা জওয়ানরা সকলেই চার বছর পর চাকরি থেকে অবসর নিতে পারবেন। আর ২৫ শতাংশকে ফের নিয়োগ করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, 'ট্যুর অফ ডিউটি'-র নিয়মকানুন পরিবর্তন নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু নতুন পরামর্শও জমা পড়েছে সরকারের কাছে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে যে কোনও দিন নতুন পদ্ধতি চালু করা হতে পারে। তবে, ২৫ শতাংশের বদলে ১০০ শতাংশকেই নিয়োগের প্রস্তাবও সরকারের কাছে জমা পড়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ২৫ শতাংশকে পুনরায় নিয়োগের পরিকল্পনাকে মাথায় রেখেই সরকার এগোচ্ছে। চার বছর চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ শেষের একমাস পর ২৫ শতাংশ জওয়ানকে পুনরায় যোগদানের তারিখ জানানো হবে।
এই পূর্ণমেয়াদের চাকরিতে তাদের আগের চারবছরের চুক্তির মেয়াদ গ্রাহ্য হবে না। আগের চার বছরকে বাদ রেখেই বেতন এবং পেনশন পাবেন জওয়ানরা। এমনটাই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে যথেষ্ট অর্থ সাশ্রয় হবে বলেই সরকার মনে করছে। তবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হবে না। যেমন কারিগরি ক্ষেত্রে, চার বছরের মেয়াদের পরও চাকরিতে বহাল রাখা হতে পারে। একই নিয়ম গ্রাহ্য হবে সেনার মেডিক্যাল বিভাগে কর্মরত জওয়ানদের ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন- মাদ্রাসায় দুই শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
জওয়ানদের কারিগরি প্রশিক্ষণে যাতে বেশি সময় ব্যয় না-হয়, এজন্য শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেই তাঁদের সরাসরি নিয়োগের প্রস্তাবও রয়েছে। এনিয়ে আর্মি ট্রেনিং কমান্ডকে সমীক্ষা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল এখনও জানা যায়নি। দেশের সামরিক বাহিনীতে গত দুই বছর কোনও নিয়োগ হয়নি। এর ফলে দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে রীতিমতো উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
হরিয়ানার পাশাপাশি পঞ্জাবের অনেক যুবকও সেনাবাহিনীতে নিয়োগে বিলম্বের জন্য বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সরকার যখন নিয়োগ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেবে, তখন তাঁদের বয়স পেরিয়ে যাবে। হরিয়ানায় আবার সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে না-পেরে এবং বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় হতাশার কারণে আত্মহত্যার অভিযোগও উঠেছে।
Read full story in English