ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় বার বার রাহুল গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কংগ্রেসের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পথে মেনে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ করছে হাত শিবিরের তামাম নেতা, কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ছিল 'চলো রাজভবন' অভিযান। যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি হয়। এই ধরণেরই এক প্রতিবাদে হায়দ্রাবাদে শামিল হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেণুকা চৌধুরী। বিক্ষোভের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যাচ্ছে, রেণুকা চৌধুরী এক পুলিশ কর্মীর কলার ধরেছেন। যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। পরে যার ব্যাখ্য়ায় দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেণুকা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের টুইট করা একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেণুকা চৌধুরী কংগ্রেসের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই সময় তাঁকে আটকেছে এক পুরুষ পুলিশ কর্মী। যার সঙ্গে তক্কাতক্কিতে জড়ান রেণুকা। এরপরই একসময়ই দেখা যায়, পুলিশকর্মীর কলার ধরেছেন রেণুকা।
পরে রেণুকা চৌধুরী নিজেই টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, 'পুলিশ অফিসারকে মারা বা অপমান করার কোন উদ্দেশ্য আমার ছিল না। ধস্তাধস্তিতে ধাক্কায় আমি ভারসাম্য হারানোর পরেই ওই পুলিশ কর্মীর কলার ধরেছিলাম।' তাঁর অভিযোগ, আসল সমস্যা থেকে মুখ ঘোরাতেই এইসব নিয়ে বেশি মাতামাতি করা হচ্ছে।
আগের দিনই বিক্ষোভের পর তেলেগু মিডিয়াকে রেণুকা জানিয়েছিলেন যে, অন্যান্য মহিলা নেতাদের সঙ্গে তিনি যখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন তখন পুলিশ অচমকা সক্রিয় হয়েছিল।পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রস্ন তোলেন তিনি। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন যে 'আসল চোরেরা বিধানসভায় বসেছিল এবং পুলিশের তাদের গ্রেফতারের সাহস দেখায় না।' দেশে আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ ব্যর্থতা ছিল বলেও অমিত শাহকে নিশানা করেছেন রেণুকা চৌধুরী।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর প্রশ্ন, "কেন পুরুষ পুলিশ অফিসাররা আমার চারপাশে ছিল?" টুইটে রেুকা বলেছেন যে, 'দেশ জুড়ে পুলিশকে প্রতিবাদী কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে সংযম দেখাতে হবে। পুলিশ আমাদের অফিসে ঢুকেছে, নেতাদের লাথি মারছে, আমাদের মহিলা নেত্রীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে, নেতাদের লাঠিচার্জ করছে। এরপরও কী আশা করবে যে আমরা শান্ত হব?'
রেণুকা চৌধুরী অতীতে দুইবার পর্যটন মন্ত্রী (২০০৪-০৬) এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী (২০০৬-০৯) হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ২০১২ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মেয়ার শেষের পর জাতীয় রাজনীচিতে তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। বর্তমানে তিনি কংগ্রেসের মুখপাত্র।