Narendra Modi: গুরু নানক জন্মজয়ন্তীর দিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আর এই সিদ্ধান্ত পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের আগে বিজেপি হারানো জমি অনেকটা ফেরাবে। এমনটাই গুঞ্জন পদ্ম শিবিরের অন্দরে। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিরোধীরা ভালো টক্কর দিয়েছে বিজেপিকে। পাশাপাশি গত ৭ বছরের প্রতিষ্ঠানবিরোধিতায় কিছুটা খর্ব নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি। তাই কৃষি আইন আইন প্রত্যাহাররে সিদ্ধান্ত ফের উজ্জ্বল করবে মোদির ভাবমূর্তি। তাঁকে সংবেদনশীল নেতা হিসেবে তুলে ধরবে বিজেপি প্রবীণ নেতৃত্বের এমনটাই ধারণা। তাই বিরোধীদের প্রবল আক্রমণের মুখে এই সিদ্ধান্তকে মোদি সরকারের মাস্টারস্ট্রোক বলেই ধরছে তাঁরা।
দলের ৫ জন প্রবীণ বিজেপি সদস্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এই পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন আবার উত্তর প্রদেশের। তাঁদের যুক্তি, ‘পাঞ্জাবের মতো আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যে কৃষক আন্দোলন অস্থিরতা তৈরি করেছিল। সে রাজ্যে ভোটের আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অনেক ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেবে।‘
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি সাংসদ বলেছেন, ‘এতদিন আমরা পঞ্জাবে অকালি দলের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়েছি। সেই রাজ্যের কৃষকরা প্রথম থেকেই আইনের বিরোধিতা করে পথে নেমছিলেন। তাই এয়াব্র আইন প্রত্যাহারের পর কিছুটা সাংগঠনিক জোর খুঁজে পাবে দল। পাশাপাশি অমরিন্দর সিংয়ের মতো নেতা, যারা বিজেপির দিকে ঘেঁষে কিন্তু কৃষক আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাঁরাও নতুন দল গড়ে এনডিএ-র শরিক হবেন। এমনকি পশ্চিম উত্তর প্রদেশের জাট সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিরবে বিজেপির প্রতি আত্মবিশ্বাস। আগামি বিধানসভা ভোটে যা বড় লাভ দলের।‘
তবে শুধু জাঠ সম্প্রদায় নয়, কৃষি আইন নিয়ে বিজেপি এবং মোদি সরকারের উপর ক্ষুব্ধ শিখরাও। সেই ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধারের স্বার্থে আইন প্রত্যাহার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। যদিও কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে লখিমপুর খেড়ির ঘটনা বিজেপির প্রতি উত্তর প্রদেশের মানুষের বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এমনটাই মনে করেন প্রবীণ বিজেপি নেতৃত্ব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন