পুঞ্চে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদ ৫ জওয়ান, আহত আরও ৩, রাত পেরিয়ে চলছে গুলির লড়াই। আর এই হামলার স্মৃতি উস্কে দিয়েছে পুলওয়ামা হামলাকে। এনিয়ে সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। জঙ্গি হামলায় সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত পাঁচজন সেনাকর্মী শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিন জওয়ান। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত থেকেই ডেরা কি গলি এবং তার আশেপাশের এলাকায় জঙ্গিদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছিল যৌথ বাহিনী। শুক্রবার সকালেও, জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলছে।
বিরোধী নেতারা জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যর্থতা ইস্যুতে তুলোধোনা করেন বিরোধী শিবির। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি বলেন, পুঞ্চে অতর্কিত হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। যাতে ৪০ জন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) কর্মী নিহত হয়। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, "গতকালের পুঞ্চে সন্ত্রাসবাদী হামলা হল পুলওয়ামা হামলার পুনরাবৃত্তি। সরকার ঘুমিয়ে আছে। বিজেপি কি আবার আমাদের জওয়ানদের বলিদান নিয়ে রাজনীতি করতে চায়? আপনি কি ২০২৪ সালে পুলওয়ামা ইস্যুতে আবার ভোট চাইতে চান? আমরা যদি পুঞ্চের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করি, তাহলে তারা আমাদের দিল্লি বা দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে"।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়া সত্ত্বেও সন্ত্রাসবাদ অব্যাহত থাকায় কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার ৩৭০ ধারা সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী। ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর আজও সন্ত্রাস আছে। কর্নেল এবং ক্যাপ্টেনের মতো আধিকারিকরা কাশ্মীরে শহীদ হয়েছেন। সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি, কিন্তু বিজেপি বলছে কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাস অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে"। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ এবং মেহবুবা মুফতিও হামলার নিন্দা করেছেন। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, নিরাপত্তা বাহিনী এই অঞ্চলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। জঙ্গিদের খুঁজে বের করার জন্য বিমান নজরদারি এবং স্নিফার কুকুর মোতায়েন করা হয়েছে।