ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর মাঝেই আশার কথা শোনাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভাবনা এই মুহুর্তে নেই বলেই জানিয়েছে আইসিএমআরের ডিরেক্টর সমীরণ পান্ডা। রবিবার তিনি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'দেশে কোভিড সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও এই মুহুর্তে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই'।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, 'জেলা ভিত্তিক সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও দেশ জুড়ে এই মুহুর্তে লাগামছাড়া সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে'। এর পাশাপাশি পাণ্ডা বলেন, 'এখনও দেশে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ইতিবাচকতার হার সম্পর্কে কথা বলার সময়, তিনি বলেছিলেন যে কখনও কখনও কম পরীক্ষার কারণে এই হার বেড়ে যায় তবে তা নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোন কারণ নেই'।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা তৃণমূলে তুমুল দ্বন্দ্ব, ‘ভোটে প্রার্থী মিলবে না’, বিস্ফোরক কোর কমিটির সদস্য
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক বুলেটিন অনুসারে জানা গিয়েছে দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ টিকার ডোজ ১৮৯ কোটি ছাড়িয়েছে। টিকাকরণের হাত কেন্দ্রীয় সরকার দেশে করোনায় লাগাম টানতে চাইছে। এর মাঝেই আইসিএমআরের এই তথ্য কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৫৭ জন। গতকাল এই পরিসংখ্যান ছিল ৩৩২৪। গতকালের তুলনায় সোমবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা হলেও কমেছে। তথ্য বলছে, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ২৬ জনের।
তবে এদিন উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, এদিন দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯,৫০০। এরই পাশাাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২৭২৩ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। দেশের অন্যান্য রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বর্তমানে রাজধানী দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়েই সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মহারাষ্ট্রেও। তার মাঝে আইসিএমআরের এই ভবিষ্যৎ বানী শুনে কিছুটা আশায় দিন কাটাচ্ছে দেশ।