করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের ব্যাপক ঘাটতি। অক্সিজেনের অভাবে রাজধানীর স্যর গঙ্গা রাম হাসপাতালে ২৫ জন মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেনের এই ঘাটতি মেটাতে বারবার কেন্দ্রের কাছে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই অবস্থায় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ভেঙে পড়লেন কেজরিওয়াল। দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহ অটুট রাখতে হাতজোড় করে আবেদন করলেন তিনি।
এদিন কোভিডে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মোদী। সেখানেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন। বলেন, রোগীরা অক্সিজেন ঘাটতির জন্য হাসপাতালে ছটফট করছেন। ভয় হচ্ছে, কোনওদিন বড় বিপর্যয় না হয়ে যায়। এই মূহূর্তে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে জাতীয় নীতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমি হাতজোড় করে বিনীত আবেদন করছি, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আপনি মুখ্যমন্ত্রীদের দিশা দিন। এবং অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিন, যাতে দিল্লিমুখী অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলিকে যেন বাধা না দেওয়া হয়।
কেজরির পরামর্শ, কেন্দ্র সমস্ত রাজ্যের অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিকে নিজের তত্বাবধানে নিক এবং অক্সিজেন পরিবহণকারী ট্রাকগুলিকে সেনা দিয়ে এসকর্ট করে নিয়ে আসুক। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বাংলায় আসার পথে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারকে উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, "সরবরাহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নিয়ন্ত্রণ করছে। বাংলা তাহলে কোথা থেকে অক্সিজেন পাবে?"
এদিকে, দিল্লির স্যর গঙ্গা রাম হাসপাতালে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল ২৫ করোনা রোগীর। মুমূর্ষ রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার পর্যাপ্ত জীবনদায়ী না থাকার জেরেই এই ঘটনা। গঙ্গা রাম হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা সবথেকে অসুস্থ ২৫ জন মারা গিয়েছেন। দুই ঘণ্টার বেশি অক্সিজেন বেঁচে নেই। ভেন্টিলেটর এবং বাইপ্যাপ ঠিক ভাবে কাজ করছে না। এখনই অক্সিজেন এয়ারলিফ্ট করিয়ে আনতে হবে। নাহলে হাসপাতালের ৬০ জন রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে।’