Advertisment

উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়: তপোবন সুড়ঙ্গ চওড়া করে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা

এখনও পর্যন্ত ৩৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৬৬ জন এখনও নিখোঁজ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এখনও উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় তপোবন সুড়ঙ্গে আটকে ৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক।

বিপর্যয়ের পর ছদিন অতিক্রান্ত। এখনও উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় তপোবন সুড়ঙ্গে আটকে ৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক। কাদামাটির স্তূপ সরিয়ে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করে তাঁদের কাছে পৌঁছতে অপারগ উদ্ধারকারীরা। শনিবার সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করার কাজ শুরু করলেন উদ্ধারকারীরা। গত রবিবার ভূমিধসের কারণে এনটিপিসি-র তপোবন-বিষ্ণুগাড জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অন্তর্গত ওই সুড়ঙ্গের পথ কাদামাটির জন্য আটকে যায়। সেই থেকে ভিতরে আটকে রয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।

Advertisment

এনটিপিসি-র জেনারেল ম্যানেজার আর পি আহিরওয়াল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, তিনটি প্রযুক্তিগত কৌশল অনুযায়ী উদ্ধারকাজ চলছে। শুক্রবার থেকে ড্রিল করে সুড়ঙ্গের পথ বড় করার কাজ শুরু হয়েছে। অন্তত এক ফুট চওড়া করতে পারলেও ভিতরে ক্যামেরা ও পাইপ ঢুকিয়ে আটকে পড়াদের হদিশ পাওয়া যাবে। এক ফুট ব্যাসার্ধের গর্ত করে ভিতর দিয়ে ক্যামেরা ও পাইপ ঢুকিয়ে জল বের করা যাবে। বাকি দুটি কৌশল হল এনটিপিসির ব্যারাজের বেসিন পরিষ্কার করে সুড়ঙ্গের ভিতরে কাদাজল প্রবেশ করা আটকানো। এবং ধৌলিগঙ্গার প্রবাহ যেটা বাঁদিকে সরে গিয়েছে সেটাকে ফের ডানদিকে করা। হড়পা বানের জন্য কাদা পরিষ্কারের কাজও ব্য়াহত হচ্ছে।

এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কর্মীদের প্রাণ বাঁচানো প্রাধান্য এই সময়ে। তাই সংস্থার তরফে ১০০ জন বিজ্ঞানীকে এই কাজে নামানো হয়েছে। আরও একটা উপায় হল, সুড়ঙ্গে গর্ত করে তার ভিতর দিয়ে উদ্ধারকারীদের পাঠানো। যার জন্য সুড়ঙ্গ আরও চওড়া করতে হতে পারে। সেই চেষ্টাও করা হবে বাকি সবকিছু বিফল হলে। ভারী মেশিনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ধৌলিগঙ্গার প্রবাহ আগের অবস্থায় ফেরানো গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৬৬ জন এখনও নিখোঁজ। মৃতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।

Uttarakhand disaster Tapovan Tunnel NTPC
Advertisment