দীপাবলির দিন থেকে উত্তরকাশীর নির্মাণাধীন টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদে বের করে আনার প্রচেষ্টায় বারে বারে বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের। টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করে আনার সব ধরনের চেষ্টা চলছে কিন্তু প্রতিবারই খনন মেশিন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। আজ উদ্ধারের ১৪তম দিন। সিল্কিয়ারা টানেলে চলমান উদ্ধার অভিযানের খতিয়ে দেখতে উত্তরকাশী পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে চলমান উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। ভেতরে ভাঙা মেশিনের ব্লেড কেটে বের করার কাজ চলছে। তাতে আগামীকাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এর পর টানেলে মেশিনের পরিবর্তে শুধুমাত্র ম্যানুয়াল কাজ করা হবে। যাতে আরও ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতী পারেই বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ আগামী দুই থেকে তিন দিন শ্রমিকদের টানেলের ভেতরে অপেক্ষা করতে হবে।
টানেল বিশেষজ্ঞ কর্নেল পরীক্ষিত মেহরা জানান, অগার মেশিনের আগার বের করার কাজ চলছে। যা কিছুটা সময় নিতে পারে। বলা হয়েছে যে যত তাড়াতাড়ি তা বের করা হবে, আবার ড্রিলিং করার চেষ্টা করা হবে। এদিকে ১৪ দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের বের না করায় পরিবারের সদস্যদের ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে।
টানেলের ভেতরে থাকা অগার মেশিনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেশিনের আগার ভিতরে আটকে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বর্তমানে উল্লম্ব ড্রিলের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। তাদের মনোবল ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে, কিন্তু আজ অপারেশন সিল্কিয়ার বাধার কারণে, টানেলে ১৪ দিন ধরে বন্দী শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে।
জানা গিয়েছে, ৫৭ মিটার ধসের বাধা সরাতে অধিকাংশ পথই অতিক্রম করেছে অগার মেশিন। আর মাত্র কয়েক মিটার বাকি। সেই ধস খুঁড়ে ফেলতে পারলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শ্রমিকদের কাছে। কিন্তু সেই কয়েক মিটার খুঁড়তে গিয়েই বারবার বাধা পাচ্ছে অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। গতকাল রাতেও অগার মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কাজ বন্ধ করতে হয়। যন্ত্রটি যে উঁচু জায়গার উপর রেখে খননের কাজ চালানো হচ্ছিল, সেই জায়গাটিতেও নাকি আবার ফাটল দেখা দিয়েছে। তার জন্যই থমকে যায় উদ্ধারকাজ।
দীলাবলির দিন উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ভুমিধসের কারণে নির্মীয়মাণ টানেলে ভেঙ্গে পড়ে । ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ দল, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সেই থেকে উদ্ধারকাজ চলছে।