নভেম্বর ২০১৬-র নোট বাতিল বা বিমুদ্রাকরণের পর চালু করা ২০০০ টাকার নোট ছাপার হার কমিয়ে "ন্যূনতম" সীমায় নিয়ে এসেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আজ জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
দু'বছরের কিছু আগে আচমকাই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট সরকারিভাবে বাতিল হয়ে যাওয়ার পর পুনর্মুদ্রাকরণের স্বার্থে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নতুন ২০০০ টাকার নোট এবং পরিবর্তিত ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে। ওই কর্মকর্তার বক্তব্য, বাজারে যোগান থাকা অর্থ যতটা, তার ভিত্তিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সরকার ঠিক করে, কত নতুন টাকা ছাপা হবে।
আরো পড়ুন: ‘কড়া নজরদারি’ সত্ত্বেও ৪১ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি; হিসেব দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
নতুন ২০০০ টাকার নোট চালু করার সময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরবর্তীতে এই নোট ছাপার হার কমিয়ে আনা হবে, যেহেতু এই বেশি মূল্যের নোটের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পুনর্মুদ্রাকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
"২০০০ টাকার নোট ছাপার হার অনেকটাই কমিয়ে ফেলা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ২০০০-এর নোট যথাসম্ভব কম ছাপা হবে। এটা নতুন কিছু নয়," বলেন ওই অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মার্চ মাসের শেষে বাজারে ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল ৩২,৮৫০ লক্ষ। তার এক বছর পর, অর্থাৎ ২০১৮ সালের মার্চ মাসের শেষে সেই সংখ্যা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩,৬৩০ লক্ষে। ওই সময়ে বাজারে যোগান অর্থের পরিমাণ ছিল ১৮,০৩,৭০০ কোটি টাকা, যার ৩৭.৩ শতাংশ ছিল ২০০০ টাকার নোটে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মার্চ মাসের শেষে ২০০০ টাকার নোটের পরিমাণ ছিল ৫০.২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-র নভেম্বরে বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের পরিমাণ সেই সময়ে বাজারে যোগান অর্থের ৮৬ শতাংশ ছিল।