২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে বলেছেন- বিচার ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা নষ্টের এক চক্রান্ত করা হচ্ছে।
দেশের ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে একটি চিঠি লিখেছেন। ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে বলেছেন- বিচার ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা নষ্টের চক্রান্ত করার চেষ্টা করছেন একশ্রেণির মানুষ।
২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে একটি চিঠি লিখেছেন। এই চিঠিতে একটি শ্রেণি বিচার বিভাগকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। চিঠিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা লিখেছেন, কিছু মহল চাপ সৃষ্টি করে, ভুল তথ্য ছড়ানো ও জনগণকে হেয় করে বিচার বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। আমরা যৌথভাবে এ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
যে সকল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ৪ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, দীপক ভার্মা, কৃষ্ণ মুরারি, দিনেশ মহেশ্বরী এবং এমআর শাহ। বিভিন্ন হাইকোর্টে কর্মরত আছেন ১৭ জন প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁদের মধ্যে রয়েছে এস এম সোনি, অম্বাদাস জোশি, প্রমোদ কোহলি, এসএন ধিংড়া, আর কে গৌবা, জ্ঞান প্রকাশ মিত্তাল, রঘুবেন্দ্র সিং রাঠোর, অজিত ভরিহোকে, রমেশ কুমার মেরুটিয়া, রাকেশ সাক্সেনা, করমচাঁদ পুরি এবং নরেন্দ্র কুমার। হাইকোর্টের অন্যান্য প্রাক্তন বিচারপতিদের মধ্যে রয়েছেন এসএন শ্রীবাস্তব, রাজেশ কুমার, পিএন রবীন্দ্রন, লোকপাল সিং এবং রাজীব লোচন। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে এই বিচারপতিরা তাদের মতামত জানিয়েছেন।
কী বললেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি?
চিঠিতে, ২১ জন বিচারক আরও লিখেছেন যে তারা ভুল তথ্য এবং কৌশল এবং বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অনুভূতি উস্কে দেওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এটা অনৈতিক এবং আমাদের গণতন্ত্রের মৌলিক নীতির জন্য ক্ষতিকর। বিচারপতিদের লেখা চিঠিতে বলা হয়, আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্ত যদি কারুর ব্যক্তিগত মতামতের সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু জনগণের মতামতের সঙ্গে অমিল এমন সিদ্ধান্তকে হামেশাই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এতে দেশের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা ও আইনের শাসন দুর্বল হয়।
প্রাক্তন বিচারপতিরা বলেছেন যে এই ধরনের কার্যকলাপ শুধুমাত্র বিচার বিভাগের অখণ্ডতাকে অসম্মান করে না বরং বিচারপতিদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। বিচারপতিরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বিচার বিভাগকে বাঁচাতে হবে। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কিছু মানুষ নিজেদের মনগড়া গল্প তৈরি করে সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা।