Advertisment

নির্বাসনে অবসান রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, প্রিগোজিন তুলে দিলেন পুতিনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

বেলারুশে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে বিদ্রোহী নেতাকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Smoke from fire

২০২৩ সালের ২৪ জুন, রাশিয়ার ভোরোনজের একটি তেল ডিপোর জ্বলন্ত জ্বালানি ট্যাংকের ওপরে আগুনের ধোঁয়া উঠছে। ওয়াগনার গ্রুপের মালিকানাধীন এবং নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তেলের ডিপোতে বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দশক ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায়। তার মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেন অতি সম্প্রতি। সেই চ্যালেঞ্জ হল, বিদ্রোহী ভাড়াটে কমান্ডার তাঁর সৈন্যদের মস্কো অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর হঠাৎ করে নির্বাসনে যাওয়ার জন্য তিনি ক্রেমলিনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। আর, পশ্চাদপসরণের কথা ঘোষণা করেন। যদিও এই বিদ্রোহ অতি সংক্ষিপ্ত। কিন্তু, তা রাশিয়ার সরকারি বাহিনীর দুর্বলতা প্রকাশ করে দিয়েছে।

Advertisment

ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বে ওয়াগনার গ্রুপের সৈন্যরা রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডনে বিনা বাধায় এগিয়ে গিয়েছেন। আর, মস্কোর পথে শত শত কিলোমিটার এগিয়ে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী রাজধানী মস্কো রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের শনিবার ঘোষিত চুক্তি অনুযায়ী, প্রিগোজিন প্রতিবেশী বেলারুশে নির্বাসনে যাবেন। এই বেলারুশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করেছে। নির্বাসনে যাওয়ার পর প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে।

রুশ সরকার আরও বলেছে যে তারা এই বিদ্রোহে অংশ নেওয়া ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে না। যাঁরা এই বিদ্রোহে যোগ দেননি, তাঁদের রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চুক্তির প্রস্তাব দেবে। প্রিগোজিন তাঁর সৈন্যদের ইউক্রেনে তাঁদের ফিল্ড ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা রাশিয়ার স্থায়ী সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রিগোজিনের বেলারুশে যাওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন- রাশিয়ার ‘বিদ্রোহী’, কীভাবেপ্রচারের আলোয় উঠে এলেন প্রিগোজিন?

প্রিগোজিন ওয়াগনারের কোনও সৈন্যকে নিয়ে নির্বাসনে যোগ দেবেন কি না, নির্বাসনে থাকাকালীন তাঁর কী ভূমিকা থাকতে পারে, সেই সব ব্যাপারে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। প্রিগোজিন, তাঁর বিদ্রোহের সময় অডিও এবং ভিডিও আপডেটের একটি সিরিজ পাঠিয়েছিলেন। ক্রেমলিন নির্বাসন সংক্রান্ত চুক্তির কথা ঘোষণা করার পর থেকে তিনি চুপ মেরে গেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি অভিযান শেষ করেছেন। রাশিয়া ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন।

russia army Vladimir Putin
Advertisment