হরিয়ানার রেওয়ারি গণধর্ষণকাণ্ডে অবশেষে পুলিশি জালে সেনাকর্মী। ১৯ বছরের তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পলাতক ছিলেন ওই সেনাকর্মী ও আরেক যুবক। ওই যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন পঙ্কজ নামের ওই সেনাকর্মী ও কলেজ পড়ুয়া মণীশ। পঙ্কজ ও মণীশকে গ্রেফতার করতে ৩০টি পুলিশের দল তৈরি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ডিজিপি বিএস সান্ধু। এ ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত নিশুকে গত সপ্তাহেই পাকড়াও করে পুলিশ। বর্তমানে নিশু ৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গণধর্ষণে তিন ধৃতই রেওয়ারি জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ঘটনায় ধৃত দীনদয়াল ও ডাক্তার সঞ্জীবকেও জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধৃত ওই দু’জন আগে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। টিউবওয়েলের মালিক ছিলেন দীনদয়াল। ওই টিউবওয়েল সংলগ্ন এলাকাতেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। গণধর্ষণের পর তরুণীর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সঞ্জীবকে ডাকেন দীনদয়াল। কিন্তু তিনি পুলিশে খবর দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন, রেওয়ারি গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে বিশেষ তদন্ত দল গঠিত
নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন যে, পঙ্কজ ও মণীশ তাঁকে এক গ্লাস জল দিয়েছিলেন। সেসময় তিনি কোচিং ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তরুণী। ওই জল খাওয়ার পরই জ্ঞান হারান বলে তরুণী জানিয়েছেন। পরে জ্ঞান ফেরার পর তরুণী দেখেন, তিনি ওই টিউবওয়েলের জায়গায় আছেন। জ্ঞান ফেরার পর ওই তরুণীকে আরও জল দেওয়া হয়, এর জেরে আবারও তিনি সংজ্ঞা হারান বলে জানা গিয়েছে। বাসস্টপে তরুণীকে ছাড়ার আগে, তাঁর বাবাকে ফোন করে অভিযুক্তরা জানান যে, তিনি অসুস্থ। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তরুণীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ৮-১০ জন হেনস্থা করেছেন।
সে রাজ্যে ধর্ষণের মতো বর্বোরচিত ঘটনা রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। তিনি বলেছেন যে, এ ঘটনায় দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।