হরিয়ানার রেওয়ারি গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের অন্যতম নিশুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতের দিকে হরিয়ানা পুলিশের ডিজি বিএস সান্ধু জানিয়েছেন, ধৃত নিশু স্থানীয় স্তরের একজন কুস্তিগীর। অন্য দুই অভিযুক্ত, সেনাকর্মী পঙ্কজ ও কলেজছাত্র মণীশ এখনও পলাতক।
এর আগে বিশেষ তদন্তদল এ ঘটনায় জড়িত দু জনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের মধ্যে একজন, দীনদয়াল একটি চাযের জমিতে একটি ছোট ঘরের মালিক। ওই ঘরের মধ্যেই নিগ্রহ ঘটে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নিগ্রহের আগে দীনদয়ালের কাছ থেকে ওই ঘরের চাবি নিয়ে যায়।
দীনদয়াল ওই ঘটনার পর থেকে লুকিয়ে ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে রেখে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এ ছাড়া এ ঘটনায় সঞ্জীব নামে এক চিকিৎসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের পর নিগৃহীতার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা সঞ্জীবকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠায়, যেখানে গিয়ে ধৃত সঞ্জীব তরুণীর প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিল।
বিশেষ তদন্তদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নাজনিন ভাসিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘‘যেখানে ঘটনা ঘটেছে, দীনদয়াল সেই টিউবওয়েল ও তার সংলগ্ন ঘরের মালিক। সঞ্জীব একজন চিকিৎসক যে আমাদের কাছে থাকা তথ্যপ্রমাণ অনুসারে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। মূল অভিযুক্ত নিশু এই গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল এবং তার পরে ওই ডাক্তারকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠিয়েছিল।’’
এ ব্যাপারে ধৃত চিকিৎসকের ভূমিকার কথা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে নাজনিন ভাসিন বলেছেন, ‘‘এ ঘটনায় চিকিৎসক সঞ্জীবের যোগসাজশ প্রমাণিত হয়েছে। সে জানত যে তিনটি ছেলে ওই মেয়েটিকে আটকে রেখেছে এবং যখন ঘটনা ঘটছে তখন তার জ্ঞান ছিল না। সঞ্জীব শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনার অংশীদার ছিল এবং এ ব্যপারে কোনও কর্তৃপক্ষকে কিছু জানায়নি।’’
এর আগে এদিন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর পাঞ্জাবে তাঁর সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে রেওয়ারি গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত পর্যালোচনা করতে চণ্ডীগড় ফিরে আসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। ইতিমধ্যে রেওয়ারির পুলিশ সুপার রাজেশ দুগ্গালকে বদলি করে তাঁর জায়গায় নিয়ে আস হয়েছে রাহুল শর্মাকে।