রেওয়ারি গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে বিশেষ তদন্ত দল গঠিত

তিন অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছে এক সেনা কর্মীও জানিয়েছেন এক পদস্থ পুলিশ কর্তা। ওই সেনা কর্মী ছুটি কাটাতে এলাকায় এসেছিল বলে জানানো হয়েছে।

তিন অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছে এক সেনা কর্মীও জানিয়েছেন এক পদস্থ পুলিশ কর্তা। ওই সেনা কর্মী ছুটি কাটাতে এলাকায় এসেছিল বলে জানানো হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rape-image-7591

অভিযুক্তদের হদিশ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার

হরিয়ানা গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে ৮ সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হল। ১গত শনিবার রেওয়ারিতে ১৯ বছরের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিন দিন আগে ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, তাঁকে অপহরণ করে, মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এই ধর্ষণের ঘটনায় তিনজন যুক্ত ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করেছে। পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্তদের সম্পর্কে খবর দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisment

তিন অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছে এক সেনা কর্মীও জানিয়েছেন এক পদস্থ পুলিশ কর্তা। ওই সেনা কর্মী ছুটি কাটাতে এলাকায় এসেছিল বলে জানানো হয়েছে। এফআইআরের বয়ান অনুসারে, নিগৃহীতা ছাত্রী কোচিং সেন্টার থেকে পড়ে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাঁকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায় একটি ফাঁকা জায়গায়। সেখানে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা শনিবার জানিয়েছেন, রেওয়ারিতে কমিশনের একটি দল পাঠানো হয়েছে। বিশেষ তদন্ত দল, পুলিশ সুপার ও নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নিজেও প্রয়োজন বোধ করলে রেওয়ারিতে গিয়ে পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

শুক্রবারই নিগৃহীতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ম্যজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান লিপিবদ্ধ করারও কথা রয়েছে তাঁর।

Advertisment

ইতিমধ্যে এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতিকে এ ঘটনার জন্য় দায়ী করে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের পদত্য়াগ দাবি করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করতে পারলে নৈতিক কারণে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের ইস্তফা দেওয়া উচিত।’’

rape