Advertisment

রেওয়ারি গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজত

কানিনার এক আদালত ধৃতদের চারদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদের মধ্য পঙ্কজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
surat rape, rape

রেওয়ারি ধর্ষণে মূল অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজত

রেওয়ারি গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। হরিয়ানার এক আদালত ১৯ বছরের কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্তকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisment

রবিবার হরিয়ানা পুলিশের বিশেষ তদন্তদল দুই মূল অভিযুক্ত পঙ্কজ ও মণীশকে গ্রেফতার করে। এরা ধর্ষণের ঘটনার পর ১১ দিন ধরে পলাতক ছিল। তাদের মেহন্দ্রগড় জেলার সাতনলী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কানিনার এক আদালত ধৃতদের চারদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদের মধ্য পঙ্কজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী।

এই অপরাধের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত ছিল কি না তা জানার জন্য ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নিগৃহীতার পরিবারের অভিযোগ, আরও অনেকে এই ঘটনায় যুক্ত ছিল।

স্কুলের শীর্ষস্থানাধিকারী ওই ছাত্রীকে গত ১২ সেপ্টেম্বর অপহরণ করে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করা হয়। ওই ছাত্রী তখন কোচিং ইনস্টিটিট্যুটে পড়তে যাচ্ছিল।

এর আগে বিশেষ তদন্তদল জানিয়েছিল তৃতীয় মূল অভিযুক্ত নিশু এবং আরও দুই ব্যক্তি, এবং সঞ্জীব কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দীনদয়াল অপরাধ যেখানে ঘটেছিল সেই টিউবওয়েল ঘরের মালিক এবং সঞ্জীব কুমার  একজন চিকিৎসক যে নিগৃহীতাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিল।

অপরাধ সম্পর্কে জেনেও পুলিশের কাছে তা না জানানোর অভিযোগে দীনদয়াল ও সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল পলাতক অভিযুক্তদের হদিশ দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। অভিযুক্তরা সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা।

নিগৃহীতা তরুণী তার আক্রমণকারীদের শনাক্ত করেছে। নিগৃহীতার বাবা-মা এর আগে অভিযোগ করেছিলেন পুলিশ এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না এবং গোটা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।

নিগৃহীতার অভিযোগ তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জল খাইয়ে বেহুঁশ করে দেওয়ার পর তাকে খেতের পাশে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে গ্রামের একটি বাস স্টপেজের কাছে ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা।

rape
Advertisment