শাহিনবাগ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে জানিয়ে দিল, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগের আন্দোলন সরকারি জায়গা দখল করে করা হয়েছিল। দীর্ঘকালীন প্রতিবাদের ক্ষেত্রের এইভাবে জায়গা জবরদখল করে রাখা যায় না। প্রতিবাদের অধিকার সবসময় এবং সব জায়গার জন্য নয়। এটা কোনওভাবেই সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
গত ৯ ফেব্রুয়ারির রায়ে বিচারপতি এস কে কল, অনিরুদ্ধ বোস এবং কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের রায় পুনর্বিবেচনা করার কোনও যৌক্তিকতা নেই। আগের রায় বহাল থাকবে। প্রতিবাদ-আন্দোলন সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়লেও তার কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। প্রতিবাদের অধিকার সবজায়গায় সবসময় মিলবে না। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হতেই পারে, কিন্তু কখনও দীর্ঘকালীন নয়। এবং সরকারি জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন তা চলতে পারে না।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগে যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়েছে তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিল। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিবাদস্থল করতে হবে। জনগণের সমস্যা সৃষ্টি করে রাস্তা আটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চলতে পারে না। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের রাস্তা আটকে প্রতিবাদ করা যাবে না। শাহিনবাগে যতদিন আন্দোলন চলেছিল, ততদিন দিল্লিতে যানজটের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।