ফের কলেজিয়াম ইস্যু বিতর্ক উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বিচার বিভাগের শীর্ষস্তরে বহু পদ খালি রয়েছে। আর, পদগুলো খালি ততক্ষণ থাকবে, যতক্ষণ না বিচারপতি নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা চালু হবে। যার অর্থ ঘুরিয়ে বললে, যতক্ষণ না কলেজিয়াম ব্যবস্থার অবসান ঘটবে।
এই প্রসঙ্গে রিজিজু জানান, বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। আর, সেই কারণেই শূন্যপদগুলো খালিই থাকছে। বর্তমানে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলছে। সেখানে রিজিজু তাঁর জবাবী ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখনই তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতির পদ রয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে ২৭ জন কাজ করছেন। এটা এমাসের ৫ তারিখ, অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বরের হিসেব। দেশের হাইকোর্টগুলোয় মোট ৭৭৭ জন বিচারপতি আছেন। কিন্তু, সেখানে পদের সংখ্যা ১,১০৮। প্রায় ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৩৩১ জন বিচারপতির শূন্যপদ রয়েছে।
রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্নের জবাবে রিজিজু জানান, এই বিপুল সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ না-হওয়ায় আদালতগুলোয় বহু মামলা বকেয়া আছে। সংখ্যাটা প্রায় পাঁচ কোটি ছুঁইছুঁই। এই বিপুল পরিমাণ মামলা অমীমাংসিত থাকার প্রভাব জনগণের ওপর পড়তে বাধ্য। রিজিজু দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া মামলার সংখ্যা কমাতে নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছে।
আরও পড়ুন- গোধরা অগ্নিকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তকেও জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মামলার সংখ্যা কমানোর সম্পূর্ণ চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তাই যতক্ষণ না বিচারপতি নিয়োগে নতুন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে, ততক্ষণ বিচার বিভাগের উচ্চস্তরে শূন্যপদও থেকে যাচ্ছে। কারণ, বর্তমানে আদালতে বিচারপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত।'
রিজিজু জানান, বিচারপতিরা নাম না-পাঠালে কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি পদে কাউকে নিয়োগ করতে পারে না। রিজিজু রাজ্যসভায় জানান যে, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের কাছে নিয়োগের জন্য বিচারপতিদের নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তাঁদের লিখিত এবং মৌখিকভাবে এনিয়ে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে।
Read full story in English