বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা বা কলেজিয়াম নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বন্দ্বের মাত্রা একধাপ চড়ল। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার বিভাগীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আচরণ গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, তিনজন আইনজীবীকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল কলেজিয়াম। কিন্তু, মোদী সরকার তা মানেনি। আর, সরকারের সেই আপত্তি ফাঁস করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যা অত্যন্ত গুরুতর উদ্বেগের বিষয় বলেই মনে করছেন কিরেন রিজিজু।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম পাঁচ আইনজীবীকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পক্ষে ফের সওয়াল করেছে। এই পাঁচ আইনজীবীর মধ্যে তিন জনের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তিতেই তাঁদের নিয়োগ করা যাচ্ছে না। তারপরও ওই তিন আইনজীবীকে বিচারপতি পদে নিয়োগের পক্ষেই ফের সওয়াল করেছে কলেজিয়াম। সঙ্গে কী কারণে সরকারের আপত্তি, তা-ও কলেজিয়াম ফাঁস করেছে।
কলেজিয়াম জানিয়েছে, এক প্রার্থীর ক্ষেত্রে তাঁর যৌন প্রবণতা নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠেছে। ওই প্রার্থীর অংশীদার আবার বিদেশি। তাতেই নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দ্বিতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারের আপত্তির কারণ, তিনি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সরব। আর, তৃতীয় জনের নিয়োগে আপত্তির কারণ, তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত দিয়েছেন। এই সব কারণগুলো কলেজিয়াম ফাঁস করে দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রিজিজু।
আরও পড়ুন- মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানোর অভিযোগ, শুরু জোরদার তদন্ত
যে পাঁচ আইনজীবীকে নিয়ে সরকারের সঙ্গে কলেজিয়ামের মতান্তর দেখা দিয়েছে, তাঁরা হলেন- আইনজীবী সৌরভ কৃপাল। তাঁকে দিল্লি হাইকোর্টে নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছে কলেজিয়াম। দ্বিতীয় জন হলেন আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেশন। তাঁকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছে কলেজিয়াম। তৃতীয় জন হলেন আইনজীবী জন সত্যান। তাঁকে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছে কলেজিয়াম। আর, চতুর্থ ও পঞ্চম জন হলেন আইনজীবী শাক্য সেন ও আইনজীবী অমিতেশ ব্যানার্জি। যাঁদের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগের সুপারিশ কলেজিয়াম করেছে।
Read full story in English